আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
বান্দরবানের আলীকদমে ঢাকা ট্যোবাকো ইন্ডাট্রিজের অবৈধভাবে মজুদকৃত ৭৪০ বস্তা ডিএপি সার জব্দের খবরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোতাকাব্বীর আহমেদ সার জব্দের কথা স্বীকার করেছেন। তবে এ ধরণের কোন জব্দের ঘটনা জানা নেই বলে জানিয়েছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসাইন।
সরেজমিন জানা গেছে, তামাক চাষীদের মাঝে বিতরণের জন্য ঢাকা ট্যোবাকোর আলীকদম শাখা কর্তৃক ৭৪০ বস্তা ডিএপি সার পানবাজারে আলী ট্যোবাকোর গুদামে মজুদ করেছে ঢাকা ট্যোবাকো ইন্ডাট্রিজ। গত ১৫ অক্টোবর নাফকো (প্রাঃ) লিমিটেড হেমায়তপুর, সাভার, ঢাকার ফ্যাক্টরীর ডেলিভারী চালান নম্বর ৪৪৪৬৩ মূলে ৩৭০ বস্তা ও ৪৪৪৬৭ মূলে ৩৭০ বস্তা- সর্বমোট ৭৪০ বস্তা ডিএপি সার ঢাকা ট্যোবাকোর আলীকদম শাখা ম্যানেজার শহিদুল ইসলামের নামে ইস্যু করা হয়। সারগুলি গত শনিবার দু’টি ট্রাকযোগে স্থানীয় প্রশাসনের পুর্বানুমতি ছাড়া আলীকদমে এনে পানবাজারস্থ আলী ট্যোবাকোর গুদামে মজুদ করা হয়।
অবৈধ সার মজুদের বিষয়ের কথা স্বীকার করে ঢাকা ট্যোবাকোর আলীকদম শাখা ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের জ্ঞাতসারে সারগুলি আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি কৃষকের স্বার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
তবে জব্দকৃত ডিএপি সার আনার বিষয়ে কোনরূপ অনুমতির দেয়ার কথা অস্বীকার করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির পূর্বানুমতি এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সারগুলি আনা হয়েছে।
আলী ট্যোবাকোর কোম্পানীর স্বত্ত্বাধিকারী আবুল হাসেম বলেন, তাদের মালিকানাধীন গুদামটি সার মজুদের জন্য সম্প্রতি ঢাকা ট্যোবাকোর আলীকদম ব্র্যাঞ্চ ভাড়া নিয়েছে। সেখানে গত সপ্তাহ থেকে এসওপি ও ডিএপি সার মজুদ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, অবৈধ সার মজুদের বিষয়টি তার নজরে এসেছে। তবে এ পর্যন্ত প্রশাসনিক পর্যায়ে সারগুলি জব্দ করা হয়নি। রবিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, অবৈধ মজুদের দায়ে সারগুলি জব্দ করা হয়েছে। রবিবার জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।