parbattanews

আলীকদমে তিনটি লাশসহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

Alikadam Mardar news pc

আলীকদম (বান্দরবান ) প্রতিনিধি:

পার্বত্য বান্দরবান জেলার আলীকদম-থানচি সড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে সেনা বাহিনী ও পুলিশ। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে এ দু’জনকে গুলি হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ হত্যাকান্ডে স্থানীয় ত্রিপুরা ও মুরুং সন্ত্রাসী গ্রুপ জড়িত বলে জানা গেছে।

নিহত একজনের নাম সিংলক ম্রো (৩০)। সে থানচি উপজেলার অবয় কারবারী পাড়ার লক্ষয় ম্রো এর ছেলে। অপরজনের পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন। তবে তাকে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ভূক্ত বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার মধ্যরাতে আলীকদম-থানচি সড়কের দোছড়ি এলাকার ১৩ কিলোমিটার একটি অপহরণকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পানবাজারের মৃত লালশাহ ফকিরের ছেলে বোরহান উদ্দিন (৩০) নামে এক কাঠুরিয়াকে অপহরণের চেষ্টা চালায় কয়েকজন সশস্ত্র মুরুং সন্ত্রসী। তবে এ সন্ত্রাসীরা সদ্য আত্মসমর্পনকৃত ম্রো ন্যাশনাল ডিফেন্স পার্টি (এমএনডিপি)’র বিচ্ছিন্নতাবাদী কিনা নিশ্চিত তা হওয়া যায়নি। অপহরণের খবর পেয়ে স্থানীয় আরেকটি ত্রিপুরা সন্ত্রাসী গ্রুপের লোকজন ম্রো সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা চালায়। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ব্যক্তিরা গুলিবিদ্ধ হয় বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

আলীকদম থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, উদ্ধার হওয়া মৃত দেহের মধ্যে একজন মুরুং ও একজন ত্রিপরা বলে শনাক্ত করা গেছে। আভ্যন্তরীন বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম-থানচি সড়কের ১৩ কিলোমিটার থেকে দুইটি লাশ উদ্ধারের একদিনের মাথায় শুক্রবার রাত আটটার দিকে আরো একটি লাশ পাওয়া গেছে।

আরো লাশ আছে কিনা নিশ্চিত হতে সেনা বাহিনী ও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন আলীকদম থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে রাত নয়টার দিকে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার জানান, “এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির লাশ অপহৃত কাঠশ্রমিক বোরহান উদ্দিনের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখানে সেনা-পুলিশের পাশাপাশি শতাধিক উৎসুক জনতার ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।” নিহত ব্যক্তি উপজেলার পান বাজারের মৃত লালসা ফকিরের ছেলে।

Exit mobile version