আলীকদমে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

fec-image

বান্দরবানের লামা-আলীকদম উপজেলায় মেসার্স রিফ এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি এবং নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগে তুলে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার সময় লামা ও আলীকদম উপজেলা পরিষদের সামনে আলীকদম উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে এই মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।

ভুক্তভোগী লামাবাসী জানান, সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি বাজার, কোয়ান্টাম লিংক রোড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিফ এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার মশিউর রহমান মিঠুন।

তারা আরও বলেন, সড়ক নির্মাণের জন্য ২ কোটি ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭১১ টাকা বরাদ্দের সড়কটির এলটম্যান্ট অনুসারে ডিজাইন মোতাবেক মাটি কাটা হয়নি। রিটেইনিং ওয়ালগুলোতে বেইজ ঢালাইতে ইটের নিম্নমানের খোয়া, নিম্মমানের বালি, নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হয়েছে। ২২ ইঞ্চি বক্সের জায়গায় ১৬-১৭ ইঞ্চি বক্স করেছে এবং সড়কের পাশে পাহাড়ের বালি-মাটি দিয়ে যেনতেনভাবে কাজ করে গেছে এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ঠিকাদার।

এদিকে আলীকদমের স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেন, যোগাযোগ রাস্তায় এত অনিয়ম কখনও কাম্য নয়। আলীকদম-নাইক্ষ্যংছড়ি দৌছড়ি সড়ক নির্মাণের জন্য ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও ঠিকাদার যেনতেনভাবে মনগড়া কাজ করে গেছে।

তারা আরও বলেন, সড়কে বালি ফিলিংয়ের জয়গায় পাহাড়ের মাটিযুক্ত বালি ব্যবহার করা হয়েছে। নিম্নমানের খোয়া, বিটুমিন, রড়, সিমেন্ট ব্যবহার করেছে ঠিকাদার। সড়কের পাশে পাহাড় কেটে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সড়ক সুরক্ষা ওয়ালে পাথরের খোয়ার জায়গায়, ইটের খোয়া দিয়ে ঢালাই দিয়েছে ঠিকাদার। ফলে বছর পার না হতেই সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ স্থানে গাইড ওয়াল ফাটল ধরেছে।

এ বিষয়ে মের্সাস রিফ এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার মশিউর রহমান মিঠুনের সাথে বেশ কয়েক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

লামা উপজেলা এলজিআরডি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, সড়ক নির্মাণে অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। ডিজাইন অনুযায়ী সবকিছু করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি জানি না তবে মানববন্ধনের বিষয়টি শুনেছি।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ এর কাছে আলীকদম-নাইক্ষ্যংছড়ি দৌছড়ি সড়ক নির্মাণের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বলে, এইসব বাদ দেন আমি জানি না। যদি জানতে হয় উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী শরিফের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ফোন কেটে দেন তিনি

লামা-আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, যদি কাজে অনিয়ম হয় তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন