parbattanews

আলীকদমে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম দর্শনীয় স্থান আলীকদমে বর্তমানে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির অবকাশকে ঘিরে অসংখ্য ভিড় জমাচ্ছে শত শত ভ্রমণপিপাসু।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে আলীকদম উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে ঢাকা থেকে আসা অসংখ্য পর্যটকদের আনা-গোনা দেখা গেছে। তারা বন্ধের ছুটি উপভোগ করতে পাহাড়ি সবুজের সমারোহ, ঝর্ণার কলকল ধ্বনি আর নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে ছুটে এসেছে। ঢাকা থেকে আলীকদমে ভ্রমণে আসা পর্যটক ফয়সাল আহমেদ পিয়াস, জুহান আব্দুল্লাহ, মো. আবুল বাশার, ইকবাল, শাহাওয়াতসহ অসংখ্য পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা মারাইংতং জেদী পাহাড়, ডিম পাহাড়, দামতুয়া ঝর্ণা, আলীর গুহা ও আশপাশের ঝর্ণাধারা ঘুরে এসেছেন।

এই সময় তারা আরও বলেন, বর্তমানে খাগড়াছড়ির অবস্থা ভালো না থাকার কারণে তারা আলীকদম, মারাইংতং পাহাড়ের জুম ঘর, কক্সবাজারে ভ্রমণে স্ব-পরিবারে আসেন।
ভোর থেকে সন্ধ্যা দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটক সমাগমে মুখর হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাজার ও হোটেল-মোটেলগুলো। ফলে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠেছে পাহাড়ি জনপদ।

ভ্রমণকারীরা বলেন, পাহাড়ি সবুজে র সমারোহ, ঝর্ণার কলকল ধ্বনি আর নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্য তাদের মুগ্ধ করছে। অনেকে প্রত্যাশা করেন, অবকাঠামো এবং যাতায়াত ব্যবস্থা আরও উন্নত হলে বান্দরবানের আলীকদম পর্যটনের নতুন দিগন্ত হয়ে উঠবে।

আলীকদমের স্থানীয় অর্কিড রেস্টুরেন্ট রেসিডেন্সিয়াল মালিক লিটন ও দ্যা দামতুয়া ইন হোটেল ব্যবসায়ীর ম্যানেজার ওয়াংমং মার্মা জানিয়েছেন, পর্যটকের ভিড় বাড়ায় তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ইতোমধ্যেই অনেক কটেজ ও রিসোর্টে অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। তারা আরও বলেন, আলীকদম উপজেলায় আগত পর্যটকদের জন্য গুণগত মানের সেবা এবং সর্বোচ্চ ডিসকাউন্ট দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ট্যুরিস্ট গাড়ি চালক মো. বাপ্পি বলেন, এখানে যে সমস্ত পর্যটকরা ভ্রমণে আসেন তারা স্বল্প পরিমাণ বাজেট নিয়ে ভ্রমণে আসেন। সে কথা চিন্তা করে তাদেরকে সর্বোচ্চ ডিসকাউন্ট দিয়ে পর্যটক পরিবহন সেবা দিয়ে থাকি আমরা। তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় রেখে গাড়ি চালানো হয় এবং পর্যটকদের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। আলীকদম ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিন্টু কর্মকার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১০ জনের সাথে একজন গাইড নিশ্চিত করে পর্যটন তথ্যসেবা কেন্দ্রে নিবন্ধন করে গাইডের সাথে দুর্গম এলাকায় ভ্রমণে পাঠান।

আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টহল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সদর এলাকায় একইসঙ্গে পর্যটন এলাকাগুলোতে শৃঙ্খলা ও স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “পর্যটকরা আলীকদমে থাকেন না, তারা নিবন্ধন করে গাইডের মাধ্যমে পাহাড় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে চলে যান।”

Exit mobile version