parbattanews

আলীকদমে বিয়ের রাতে বরের মৃত্যু, অভিযুক্তরা পলাতক

আলীকদম প্রতিনিধি:

বান্দরবানের আলীকদমে বিয়ের রাতেই বরের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও মামলা এন্ট্রি হয়নি। তবে অভিযুক্তরা এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করছেন।

এ নিয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলাও হয়। কিন্তু শুক্রবার (২৯ জুন) নিহতের বড়ভাই মো. উছমান বাদী হয়ে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। নিহতের পোস্টমর্টের রিপোর্ট সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, গ্রাম্য মাতব্বরদের নেতৃত্বে বিয়ে পড়ানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ২৭ জুন দিবাগত রাতে মারা যান উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের খোরশেদ আলমের ছেলে মো. আব্দু শুক্কুর (২৪)।

নিহত যুবকের বড়ভাই মো. উছমানের দাবী, তাকে ২৬ জুন রাতে গ্রাম্য মাতব্বর স্থানীয় এক শিক্ষকের নেতৃত্বে সদর ইউনিয়নের দানু সর্দার পাড়ার মরিয়াম খাতুনের বাড়িতে আটক করা হয়। আটকের পর এ শিক্ষক নিজে মুঠোফোনে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারকে ফোন করেছিল। আব্দু শুক্কুরকে আটকের পর তার বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের অভিযোগ আনে মাতব্বররা।

পরক্ষণে খবর পেয়ে নিহত যুবকের বড় ভাই উছমান তাকে ছেড়ে আনতে যান। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবু ছালামও যুবক আব্দু শুক্কুরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। কিন্তু জিয়াউল হকের নেতৃত্বে অন্যান্যরা তাকে ছেড়ে না দিয়ে পরের দিন ২৭ জুন সরকারি কাজী ডেকে মরিয়ম খাতুনের সাথে ২ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ে পড়ানোর পর ২৭ জুন রাতের যে কোন সময় মারা যান যুবক আব্দু শুক্কুর।

তার এ মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা দাবী করে গত ২৮ জুন আলীকদম থানায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করেছেন নিহের বড় ভাই মো. উছমান। এরপর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।

বিয়ে পড়ানো কাজী মাওলানা কুতুব উদ্দিন ২ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে পড়ানোর কথা স্বীকার করেছেন।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবু ছালাম বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পর সেখানে যাই। তাকে ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। ছেড়ে না দেওয়ায় আমি পুলিশ ও চেয়ারম্যানকে ঘটনাটি জানাই।

অভিযুক্ত শিক্ষক জিয়াউল হক বলেন, ওয়ার্ড মেম্বার আবু ছালাম সবকিছু করেছেন। প্রভাবশালী বিধায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়নি। আমরা নিরীহ তাই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিক উল্লাহ্ বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version