parbattanews

আলীকদমে সুষ্ঠু বিচার ও ঘাতক চালককে আটকের দাবিতে ছাত্রলীগের মানববন্ধন

আলীকদম উপজেলা পরিষদের সামনে আলীকদম উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে রোববার (১৭ এপ্রিল) এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে গত ২৮ মার্চ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছোটন শীলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এসময় মানববন্ধনে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক গাড়ি চালককে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তাঁরা।

জানা গেছে, নিহত ছোটন শীল ওই দিন সকাল ৮টায় তার কর্মস্থল চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। এসময় পথে লামা উপজেলার বদুঝিরি এলাকায় মালবাহী জিপগাড়ির সাথে তার মোটরসাইকেলে মুখমুখি সংঘর্ষে নিহত হন।

মানববন্ধনে আলীকদম উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম নিহত ছোটন শীলের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ তুলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত গাড়ি চালকে আটক করার দাবি জানান। অন্যথা সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন।

মানববন্ধনে আলীকদম উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অদক্ষ চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মানববন্ধনে আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য দুংড়িমং মার্মা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সমরঞ্জন বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান টিপু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান, কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন রুবেলসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের বোন জয়শ্রী ঘাতক গাড়ির মালিক তাঁর পরিবারের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ওই মালিক তাদের নানাভাবে হয়রানি করছে। এমনকি দুর্ঘটনার শিকার তার ভাইয়ের মোটরবাইকটি লামা থানা পুলিশ নানা অজুহাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে থানা হেফাজতে রেখে দেন।

এ বিষয়ে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত গাড়ি চালকের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে আটকের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার মোটরবাইকটি বিজ্ঞ আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত নির্দেশ দিলে নিহতের পরিবার অথবা তার কোম্পানিকে গাড়িটি দিয়ে দেওয়া হবে।

Exit mobile version