parbattanews

কুতুবদিয়ায় আ‘লীগ নেতা কর্তৃক দু‘ছাত্র বলৎকারের অভিযোগে মামলা

কুতুবদিয়ায় দু‘স্কুল ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে আটক আ‘লীগ নেতা ও তার সহযোগীকে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) আদালতে তোলা হবে। এর আগে পুলিশের গত রবিবারের আবেদনে ৫ দিনের চাওয়া রিমান্ডের শুনানী হবার কথা রয়েছে এদিন।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলা আ‘লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম লালা (৪৮) ও তার দোকানের কর্মচারি মো. নওশাদকে দু‘স্কুল ছাত্র বলৎকারের অভিযোগে পুলিশ আটক করেছিল। পর দিন এক ছাত্রের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ ওই মামলায় দুই আসামীকে আটক দেখিয়ে কোর্টে চালান দিলে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আদালত আসামীদ্বয়কে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

উপজেলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচছাফা বলেন, শেখ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনৈতিক অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর তাকে সাংগঠনিক পদ সহ দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, দু‘ছাত্র বলৎকারের অভিযোগে আটক শেখ শহিদুল ইলাম ও তার কর্মচারি নওশাদকে আদালতে সৌপর্দ করা হয়। পরে আদালতে রবিবার ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে রিমান্ডের উপর শুনানী হবার কথা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

এ দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিকটিম দু‘ছাত্র পূণ: ভর্তির পর এক স্বাক্ষাতকারে জানায়, ঘটনার দিন তারা ৩ ছাত্র ওই নেতার দোকানে রাত্রীযাপন করেন। এসময় তারা গানের রিহার্সেলও করে দোকানে। ঘুমানোর আগে দোকানের কর্মচারি নওশাদ গলা পরিষ্কারের কথা বলে তাদেরকে জুসের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব মিশিয়ে খাওয়ায়।

দু‘ছাত্রের ভাষ্যমতে ৩ জনের মাঝে একজনের জুস পানে কোন নেশার প্রভাব পড়েনি। তাদের দু‘জন একটু পরেই অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর তাদের সাথে কি আচরণ করা হয়েছে তা তারা কিছুই জানেনা বলে জানান। তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে নাকি অন্য কোন কিছু করা হয়েছে এটিও তারা মনে করতে পারছেনা। বিষয়টি এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা, সমালোচনা চলছে।

Exit mobile version