আলোর নিচে অন্ধকারের জনপদ কাপ্তাই


রাঙামাটির কাপ্তাই এখন আলোর নিচে অন্ধকার জনপদের নাম। যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় আর সেখানে বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়। বিষয়টি নিয়ে নেটিজনেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যকর বিভিন্ন মন্তব্য করে আসছে। ঝড় নেই বৃষ্টি নেই, কিন্তু বিদ্যুৎ নেই। এ যেন পল্লী বিদ্যুৎকেও হার মানিয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টায় ১২/১৫ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার ফলে লোকজনের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলায় সরকারি, বেসরকারি,শিল্প কলকারখানা, ব্যাংক,বীমা স্কুল,কলেজ,পলিটেকনিক, মাদরাসাসহ বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার ফলে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে কাজ সরবরাহ করতে না পাড়ায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। শিল্প কলকারখানা ব্যাংক ও বীমা জানান,বিদ্যুৎতের ভেলকিবাজিতে কোটি টাকার লেনদেন করতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই আবাসিক প্রকৌশলী শামসুল আরেফিন জানান, কাপ্তাই ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সংযোগ (লাইন)।পাহাড়ি পথে বিদ্যুৎ লাইন গেছে ২০ কিঃ মি। বিদ্যুৎ তাড়ের প্রায় ৩০/৫০ফুট উপরে পাহাড়ি পথে গাছ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে গাছ ও ডালপালা ভেঙে তারের ওপর পড়ে এবং সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে যায়। এটা কোন লোডশেডিং নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সমস্যা।
বিদ্যুৎ তাড়ের ওপর গাছ ও ডালপালা ভেঙে পড়ায় খুজে বাহির করতে এবং পুনরায় সংযোগ দিতে সময় লেগে যায়। তিনি আরও জানান, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি ও কাপ্তাই উপজেলা তাদের দেখতে হচ্ছে। এর মধ্যে জনবল সংকট চরমে। ওপর মহলের চাপ ত আছে।তবে কাপ্তাই শিলছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলায় আরও দুটি সাবস্টেশন স্থাপন করা হবে। এবং বিদ্যুৎ বিভাগ বছরের শেষে আরও একটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হলে বিদ্যুৎতের সমস্যায় আর লোকজনকে পড়তে হবেনা বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
ছবি ও ক্যাপশন-বিদ্যুৎ না থাকায় নতুন বাজার এক ব্যবসায়ী শুয়ে বসে অলস সময় পাড় করছে।