parbattanews

আল ইয়াকিন সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার, মিশ্র প্রতিক্রিয়া

কক্সবাজারের টেকনাফে ২২নং ঊনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আল ইয়াকিন গ্রুপের এক সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করে কৌশলে দাফন করা হয়েছে। এই মৃত্যু নিয়ে হাওয়ায় বিভিন্ন তথ্য ভাসলেও পুলিশের দাবি সে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েই মারা গেছে।

জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ঊনছিপ্রাং ২২নং ঊনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকের নিউ এলুকেশন-২ এর বাসিন্দা মনু মিয়া ওরফে মনু মাঝির পুত্র মাইমুন (২৫) এর মৃতদেহ নাফনদী হতে উদ্ধার করে। তাকে জীবিত ভেবে বালুখালী এনজিও হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করায় অত্যন্ত কৌশলে তাকে এনে দাফন করা হয়েছে।

উনছিপ্রাং পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই সাইদুজ্জামান ছোটন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ব্যক্তি আল ইয়াকিনের সদস্য ছিল। তবে তিনি রোহিঙ্গাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বালুখালী বেড়াতে গিয়ে সেখানে মারা গেছে বলে জানান।

এদিকে ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপকালে জানাগেছে, নিহত মাইমুন উগ্রপন্থী সংগঠনের লোক তাই ওপারে কিছু করতে গিয়েই হয়তো কারো হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে। তবে পুলিশসহ আর একটি মহলের দাববি সে, বালুখালী শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েই মারা গেছে।
তবে বেশীর ভাগ মানুষের দাবি নিহত মাইমুন রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠন আল-ইয়াকিনের স্বশস্ত্র সদস্য।

গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে নিহত মামুনের নেতৃত্বে ৮জনের একটি গ্রুপ বালুখালী পয়েন্ট দিয়ে নৌকায় করে ত্রাণের চাল মিয়ানমারের সরকার বিরোধী একটি রাখাইন গ্রুপকে সরবরাহ করতে নাফনদীতে যায়। সেখানে চাল গ্রহণ করতে আসা লোকজনের সাথে তাদের মূল্য নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। চাল পাচারকারী গ্রুপের মধ্যে ঊনছিপ্রাং ক্যাম্পের মামুন, বালুখালী ক্যাম্পের অজ্ঞাত ২জন, অজ্ঞাত ক্যাম্পের আরো ১জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে মামুনকে ঊনছিপ্রাং, ২জনকে বালুখালী ও ১জনকে মিয়ানমার সীমান্তে দাফন করা হয়েছে। প্রাণে বেঁচে যাওয়া অপর ৪ জন এপার এবং ওপারে অবস্থান নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।

Exit mobile version