parbattanews

আশ্রিত জায়গা নিজেদের বলে দাবি রোহিঙ্গাদের: মধ্যরাতে তাড়াচ্ছে স্থানীয়দের!

স্থানীয় পরিবারের পুরুষ-মহিলা জড়ো হয়ে পালংখালীর ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে নালিশ নিয়ে আসে

উখিয়ার পালংখালীতে অবস্থিত ক্যাম্প ১৩ ও ১৯-এ বসবাসরত স্থানীয় বাংলাদেশীদের প্রাণে মারার হুমকি, নিজের জায়গা বলে দাবিসহ বাংলাদেশ সরকার তাদের দেখিয়ে টাকা আয় করছে বলে দাবি করছেন রোহিঙ্গারা। রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ক্যাম্প ১৩ ও ১৯-এ বসবাস করা স্থানীয় অন্তত ৫০ টি পরিবারের পুরুষ-মহিলা জড়ো হয়ে পালংখালীর ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিনের বাড়িতে একগুচ্ছ নালিশ নিয়ে হাজির হয়।

ওখানে থাকা স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া বাড়ি থেকে চুরির ঘটনা নিত্যদিনের। স্থানীয়দের যেকোনো আসবাবপত্র পত্র চুরি করতে দ্বিধাবোধ করছেনা রোহিঙ্গারা। এমনকি রোহিঙ্গাদের দাবি, “এই জায়গা-জমিন তাদের। তারা সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের উপর অভিযোগ এনে বলে, এই জায়গা এদেশের সরকার আমাদের জন্য বিক্রি করে দিয়েছে আর টাকা আয় করছে আমাদের দেখিয়ে। সুতরাং এই জায়গা আমাদের। তোমরা এখান থেকে চলে যাও।”

স্থানীয়রা হাতাশা হয়ে বলেন, জন্মের পর থেকে যে দেশে বাস করছি সে দেশ থেকে তাড়ানোর কথা বলে রোহিঙ্গারা। পূর্বেও এই রোহিঙ্গাদের কারণে বসতভিটার অনেকাংশ ছেড়ে দিতে হয়েছে নিজেদেরকে। পরে পরে শাকসবজির ক্ষেত পর্যন্ত তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। আর সেই রোহিঙ্গারাই স্থানীয়দের ক্যাম্প থেকে তাড়ানোর পাঁয়তারা করছে।

এ বিষয়ে ক্যাম্পে দায়িত্বরত পুলিশ অথবা ক্যাম্প ইনচার্জদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অভিযোগ নিয়ে আসা A2 ও B2 ব্লকের একাধিক নারী-পুরুষ জানায়, পুলিশের কাছে নালিশ নিয়ে গেলে তারা বলে সিআইসির (ক্যাম্প ইনচার্জ) কাছে যান। সিআইসির কাছে গেলে বলে পুলিশের কাছে যান। এভাবে তাড়িয়ে দেয় আর বিচার পাইনা।

এ বিষয়ে পালংখালীর ইউপির চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন,”বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ক্যাম্প ইনচার্জদের সাথে বসে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর আমার যেটা মনে হয়েছে, রোহিঙ্গারা হচ্ছে একটি অকৃতজ্ঞ জাতি। ধন্যবাদ দিতে কৃপণতা তাদের। তারা ক্যাম্প থেকে স্থানীয়দের উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করেছে। তাছাড়া এই বিষয়টি নিয়ে ওখানকার ক্যাম্প ইনচার্জরা অবগত নেই বলে আমার মনে হয়েছে।”

Exit mobile version