আশ-শিফা হাসপাতালে ইসরাইলের অভিযান; বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আশ-শিফা হাসপাতালের ভেতরে দখলদার ইহুদিবাদী সেনারা শেষ পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। এ সময় বর্ণবাদী সেনারা বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি চালায়। আশ-শিফা হচ্ছে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল।
হাসপাতালের মহাপরিচালক মনির আল-বুর্শ বলেন, হাসপাতালের করিডর থেকে যারা চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তাদের উপর ইহুদিবাদী সেনারা গুলি চালায় অথচ এর আগে ইসরাইল ঘোষণা করেছিল যে, হাসাপতালের ভেতর থেকে বেসামরিক লোকজন নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পারবে।
হাসপাতালের মহাপরিচালক আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, তল্লাশি অভিযানের সময় হাসপাতালের ভেতর থেকে একটি গুলিও দখলদার সেনাদের লক্ষ্য করে চালানো হয়নি। তিনি জানান, ইহুদিবাদী সেনারা হাসপাতালের অপারেশন এবং জরুরি বিভাগ ভবনে ঢুকেছিল এবং তারা বেজমেন্টেও তল্লাশি চালিয়েছে।
আজ সকালের দিকে ইহুদিবাদী সেনারা ঘোষণা করে যে, তারা আশ-শিফা হাসপাতালে সুনির্দিষ্ট এবং টার্গেটেড অভিযান চালাচ্ছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদে বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী সেনারা আশ-শিফা হাসপাতাল কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে অথচ সেখানে অন্তত সাত হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে যাদের মধ্যে পনেরশো রোগী এবং মেডিকেল স্টাফ।
আশ-শিফা হাসপাতালে ইহুদিবাদী সেনাদের অভিযানের পর হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা এই অভিযানের জন্য দখলদার ইসরাইল সরকার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী মনে করি এবং আশ-শিফা হাসপাতালে এই হামলার পরিণতি তাদেরকেই বহন করতে হবে।”
অন্যদিকে, জিহাদ আন্দোলন এক বিবৃতিতে বলেছে, দখলদার বাহিনীকে আশ-শিফা হাসপাতালে অভিযানের জন্য আমেরিকা সাহায্য করেছে। দখলদারদের গাজায় কোনো সামরিক অর্জন নেই তবু তারা গাজার বেসামরিক লোকজন এবং রোগীদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চাইছে।#