parbattanews

আড়াই লাখ রোহিঙ্গাকে পরিচয়পত্র দিলো জাতিসংঘ

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ২ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গাকে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।

শুক্রবার সংস্থাটির মুখপাত্র আদ্রে মেহাসেক জেনেভায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ইউএনএইচসিআর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৮ সালের জুন মাসে পরিচয়পত্র তৈরির কাজ শুরু হয়। এই পরিচয়পত্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি ঢাল হিসেবে কাজ করবে এবং ভবিষ্যতে তাদের মিয়ানমারে ফিরে যাবার অধিকার সুরক্ষার প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ পরিচয়পত্র শুধু তাদেরকে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার প্রমাণপত্রই নয় বরং তাদের মানব পাচারের হাত রক্ষা করবে বলেও দাবি করা হয়।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র আদ্রে মেহাসেক সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় পৌণে তিন লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে যৌথভাবে পরিচয়পত্র দিচ্ছে বাংলাদেশ ও ইউএনএইচসিআর কর্তৃপক্ষ।

আদ্রে মেহাসেক বলেন, ২০১৮ সালের জুন মাসে পরিচয়পত্র তৈরির কাজ শুরু হয়। এই পরিচয়পত্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি ঢাল হিসেবে কাজ করবে এবং ভবিষ্যতে তাদের মিয়ানমারে ফিরে যাবার অধিকার সুরক্ষার প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আদ্রে মেহাসেক জানান হয়, পর্যায়ক্রমে ১২ বছরের বেশি বয়সী সব রোহিঙ্গাকেই এই পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। পরিচয়পত্রে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন রোহিঙ্গা নাগরিকের নাম, তার পরিবারের সূত্র, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, আইরিশ স্ক্যান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আদ্রে মেহাসেক বলেন, ২ লাখ ৭০ হাজার ৩শ’ ৪৮ জন শরণার্থীর প্রায় ৬০ হাজার পরিবার ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হয়েছে। এবং সকল শরণার্থীকে পরিচয়পত্র দিতে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়নামারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ থেকে বাঁচতে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ নির্যাতনকে ‘গণহত্যার টেক্সবুক’ উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করে।

এ ছাড়া ২০১৭ সালের আগে থেকেই একই কারণে আরও অন্তত ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। গত বছর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত ৯ লাখ রোহিঙ্গার পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যেই সব রোহিঙ্গাকে নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটি।

Exit mobile version