ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকালে নাইক্ষ্যছড়ি সদর ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম এলাকায় ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন আদর্শগ্রাম এলাকায় অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। সদর ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুইজনকে তার কার্যালয়ে হাজির করা হয় এবং তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বিয়ে দেবে না মর্মে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।

সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ইউএনও ও স্থানীয় মানুষের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আদর্শগ্রাম এলাকার পেটান আলীর ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে মোহাম্মদ কালুর ছেলের মধ্যে বিয়ের আয়োজন চলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিভাবকসহ দুই পরিবারের লোকজনকে ইউএনও কার্যালয়ে হাজির করে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা, আশারতলী, আদর্শগ্রাম, বিছামারা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ গোপনে এই ধরনের বাল্যবিবাহ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভূমিকা রাখলে এই ধরনের বাল্যবিবাহ বন্ধ হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইউএনও, নাইক্ষ্যংছড়ি, বাল্যবিবাহ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন