ইউপিডিএফ’র এক সদস্য নিহত : দাবি জেএসএস’র
তিন দিনের ব্যবধানে আবারো রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে মাচালং ব্রিজ পাড়ায় পাহাড়ের বৃহৎ আঞ্চলিক সশস্ত্র দুই সংগঠন জনসংহতি সমিতি, জেএসএস সন্তু ও ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এতে গোলাগুলির শব্দে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ইউপিডিএফ’র এক সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) বাঘাইছড়ি থানার সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমা।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সাজেকের খগেন্দ্র কারবারি পাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ চলে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সেদিন দুই শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের তিন সদস্য নিহত হয় বলে দাবি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া রক্তাক্ত ছবি পোস্ট করে একে অপরকে দোষারোপ করলেও মরদেহ উদ্ধার বা মামলা কোনটি হয়নি।
বাঘাইছড়ি ও সাজেক থানার সার্কেল অফিসার এএসপি মাহামুল হাসান গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে আমরা গোলাগুলির বিষয়টি জেনেছি। উভয় পক্ষ আনুমানিক দেড়শ থেকে দুইশো রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। তবে ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় এখনো ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বিস্তারিত জানতে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।’
এদিকে গোলাগুলির বিষয়টি জানতে জনসংহতি সমিতি জেএসএস’র বাঘাইছড়ি থানার সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমার (দিব বাবু) সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘চুক্তি পক্ষ ও বিপক্ষ দলের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে ইউপিডিএফ’র এক সদস্য নিহত হয়েছে। এখানে জেএসএসের কোন দায় নেই। আর এই ঘটনার জন্য জেএসএস নিন্দা জানায়।’
এদিকে ইউপিডিএফ’র মন্তব্য জানতে ইউপিডিএফ’র একাধিক নেতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।