ইউপিডিএফের চার নেতাকর্মী হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত খাগড়াছড়ি


খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ৪ নেতাকর্মীকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত দশটার দিকে উপজেলার ১ নম্বর লোগাং ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অনিল পাড়ার অতুল চাকমার বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা (৩২), জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা (২৯), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা (২৮) ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন কুমার ত্রিপুরা (৪৯)।
এ ছাড়াও ইউপিডিএফ নেতা হরি কমল ত্রিপুরা, নীতি দত্ত চাকমা ও মিলন চাকমা নিখোঁজ রয়েছে। ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করেছে।
এদিকে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের শ্যামল কান্তি চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পাহাড়ে আরো অনেক আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। মূলত তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয় ১ নম্বর লোগাং ইউপির চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা ও ২ নম্বর চেংগী ইউপি চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমা জানান, গতকাল রাত আনুমানিক দশটার দিকে সশস্ত্র কিছু লোকজন এসে বাড়িটি ঘেরাও করে চারজনকে গুলি করে হত্যা করে ও তিনজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকায় জনগণ ভয়ভীতির মাঝে বসবাস করছে বলেও জানান তিনি।
খাগড়াছড়ি জেলা ইউপিডিএফ’র জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এলাকায় যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তাই তারা সেখানে অবস্থান করছিল। ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাদের দাবি বলেও তিনি জানান।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে পানছড়ি থানার ওসি মো সফিউল আজম জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে রয়েছে।