ইউপিডিএফ কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক’র প্রতিষ্ঠাতা আহ্বাবায়ক তপন জ্যোতি বর্মার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী নানা কর্মসূচীতে পালিত হয়েছে। দিন উপলক্ষে সংগঠনটির উদ্যোগে ঘরোয়া ভাবে আলোচনা সভা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।
সোমবার(৪ মে) সকালে খাগড়াছড়ির মধুপুরস্থ দলীয় কার্যালয়ে সংঠনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা বর্মার স্মরণ করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতারা। এ সময় ১ মিনিট নীরবতা পালন করে সংগঠনের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গকারী আত্মত্যাগী নেতার স্মৃতি চারণ করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনা সভা করেন।
বরুণ কার্বারীর সঞ্চালনা ও আলো চাকমা স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এ সময় বক্তব্য রাখেন সত্য রঞ্জন চাকমা ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রধান শ্যামল চাকমা প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাকে।
তিনি পাহাড়ের অধিকারহারা মানুষের অধিকার আদায়ে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠাতা করেছিল। পাশাপাশি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে অধিকার প্রতিষ্ঠাতার মাধ্যমে পাহাড়কে অসাম্প্রদায়িক শান্তির নিবাস গড়াই ছিল তার লক্ষ।
অভিলম্বে পাহাড়ে খুন থেকে শুরু করে অবৈধ কর্মকাণ্ডমুলক ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করাসহ তপন জ্যোতি বর্মাসহ নেতাকর্মী হত্যাকারী দেশদ্রোহী প্রসীত খীসাসহ তার পালিত সন্ত্রাসীদের ফাঁসির দাবী জানান।
প্রসঙ্গত: ২০১৮ সালের ৪ মে রাঙ্গমাটির নানিয়ারচরে এমএন লারমা সমর্থিত জেএসএস সহ-সভাপতি ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বেতছড়ির ফরেস্ট এলাকায় প্রতিপক্ষের এলোপাথাড়ি ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর আহ্বায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা তপন জ্যোতি বর্মাসহ দুই সংগঠনের ৫ জন নেতা নিহত হয়।