parbattanews

ইনানী সি-বিচে দেশি বিদেশী পর্যটকের ভিড়

পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটিতে উখিয়ার পর্যটন নগরী ইনানীর সমুদ্র সৈকতে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের প্রাণকেন্দ্র ইনানী সি-বিচ যেন পর্যটকদের অপার্থিব আনন্দ এনে দেয়।

ইনানী বিচে বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে প্রকৃতি নিজ খেয়ালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে অসংখ্য কোরাল। এ সব কোরালের রহস্যময়ী অবস্থান অবলোকন করতে এই বিচে কিছুটা সময় কাটাতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটক চলে আসে।

ইনানী বিচের অদূরেই রয়েছে মন মাতানো প্রশান্তির পাটুয়ারটেক সী-বিচ। পাটুয়ারটেক সি-বিচের একটু পূর্বে পাহাড়ের নিচে রহস্যময়ী কানা রাজার গুহা। কানা রাজার গুহার পাশেই ঐতিহাসিক ফইল্লা চাকমার মাচাং ঘর দেখতে আনন্দ লাগে। পশ্চিমে সমুদ্রের ঢেউ, পূর্বে উঁচু পাহাড় তার মাঝেই ইনানী সি-বিচ।

পৃথিবীর দীর্ঘতম বেলাভূমি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ বিচের উখিয়ার ইনানী সি-বিচের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে আসা ট্যুরিস্টদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। দেশি-বিদেশী পর্যটকেরা কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনের চেয়ে ইনানী বিচে অবকাশ যাপন ও দর্শনে অধিকতর সময় ব্যয় করতে চাইলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও আবাসিক হোটেল-মোটেল না থাকায় তাদের কক্সবাজারে ফিরে যেতে হয় বলে জানালেন ঢাকার গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক দম্পতি শাকিবুল হক ও সায়মা ইয়াছমিন।

তারা বলেন, ইনানী বিচে আছে কক্সবাজার বিচের চেয়ে স্বচ্ছ নীলাভ পানি, অসংখ্য কোরালের ছড়াছড়ি, সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য ও সমুদ্র ঘেষা পাহাড়। যার কারণে পর্যটকেরা বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারে।

হবিগঞ্জ থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটক সজিব, ফেনী থেকে আসা সাইদুর রহমান, শাহ কামাল, রাজশাহী থেকে আসা দম্পতি ইয়াছমিন ও শের আলীসহ অনেক পর্যটক ইনানী সি-বিচ ঘুরে খুশি মনে বলেন, পবিত্র ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এখানে বেড়াতে এসেছি। ইনানী সি-বিচ তথা কক্সবাজারের মনোরম পরিবেশ দেখে খুব ভালো লেগেছে। আমরা আগে শুনেছিলাম ইনানী সি-বিচে সূর্যাস্তের কথা কিন্তু বাস্তবে দেখে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।

Exit mobile version