ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিশোধের হুমকি হুথিদের

fec-image

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হওয়ার পর পাল্টা জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। গোষ্ঠীটি বলেছে, মার্কিন হামলার জবাবে ‘বড় ধরনের প্রতিশোধ’ নেবে তারা।

হুথি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আসবাহি রোববার (১৬ মার্চ) নিশ্চিত করেছেন, গত শনিবারের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু ও দুই নারী রয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯৮ জন।

হুথি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং এর যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ১৮টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো হুথিদের এই দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সারি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে ৪৭টির বেশি হামলা চালিয়েছে।

হুথি নেতা আবদুল মালিক আল-হুথি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই অঞ্চলে তাদের আধিপত্য চাপিয়ে দিতে চায়। আমরা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবো এবং তাদের যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করবো।

তিনি আরও জানান, ইসরায়েল যদি গাজার জন্য মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেয়, তবে তারা ইসরায়েলি জাহাজগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করবে।

ট্রাম্পের ‘অপরিসীম প্রাণঘাতী শক্তি’ ব্যবহারের হুঁশিয়ারি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ‘অপরিসীম প্রাণঘাতী শক্তি’ প্রয়োগ করবে, যতক্ষণ না তারা লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ করে।

হুথিরা ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা শুরু করেছিল। তারা রোববার জানিয়েছে, আমাদের সামুদ্রিক অভিযান চলবে, যতক্ষণ না গাজার অবরোধ প্রত্যাহার করা হয় এবং সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বলেছেন, হুথিদের হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ‘নিরবচ্ছিন্ন হামলা’ চালিয়ে যাবে।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই অভিযান ‘ইরানের প্রতি স্পষ্ট বার্তা যে, তারা যেন হুথিদের সমর্থন বন্ধ করে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ এবিসিকে বলেছেন, মার্কিন হামলায় হুথিদের একাধিক শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। তবে হুথিরা এখনো এই দাবি নিশ্চিত করেনি।

সূত্র: আল-জাজিরা

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন