ইসরায়েলি হামলায় ইরানের উচ্চ পর্যায়ে যারা নিহত হলেন


ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নস্যাৎ করার লক্ষ্যে পরিচালিত ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ অভিযানে ইরানের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা এবং পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম অনুসারে, যাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন:
হোসেইন সালামি: ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডসের সর্বাধিনায়ক।
গোলামালি রশিদ: খাতাম-আল আনবিয়া সেন্ট্রাল সদর দপ্তরের কমান্ডার। খাতাম-আল আনবিয়া সেন্ট্রাল সদর দপ্তর হলো ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সমন্বিত যুদ্ধ কমান্ড সদর দপ্তর, যা সরাসরি জেনারেল স্টাফের অধীনে এবং ইরানি বাহিনীর মধ্যে যৌথ সামরিক অভিযান পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত।
ফেরেদুন আব্বাসি: পরমাণুবিজ্ঞানী এবং ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান। ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানী ফেরেদুন আব্বাসি ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি এর আগে ২০১০ সালে একটি হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ১৭৪৭ অনুযায়ী ইরানের পারমাণবিক বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য তালিকাভুক্ত ছিলেন।
মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি: ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত আরেক পরমাণুবিজ্ঞানী। মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি ইরানি তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানী এবং শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেজার ও প্লাজমা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়।
মোহাম্মদ বাঘেরি: ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ।
আলী শামখানি: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। ইরানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। আলী শামখানি ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০২৩ সালের মে থেকে তিনি সর্বোচ্চ নেতার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ছয়জন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে ইরানি বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। নিহত ছয় বিজ্ঞানী হলেন—আব্দুল্লাহ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জলফাঘারি, সায়েদ আমির হোসেন ফাকহি, মোতলাবিজাদেহ, ফেরেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি।