বাজি ধরে টাটকা গরম চা পান করে মারা গেল মোস্তাফা (২০) নামক রোহিঙ্গা যুবক। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামপুরের নতুন অফিস বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সে উখিয়া কুতুপালং নিবন্ধিত ক্যাম্পের বাসিন্দা। নিহত মোস্তাফা তাওয়াককুল জুস কর্নারে চাকুরি করতো বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় এই রিপোর্ট লিখাকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার জন্য সে নিজেই দায়ী বলে পার্শ্ববর্তী দোকানদার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। মাস-তিনেক আগে অন্য একজনের মাধ্যমে মোস্তাফা তাওয়াককুল জুস কর্নারে চাকুরি নেয়।
স্থানীয়রা জানায়, মোস্তাফা একটু চঞ্চল ও জেদি স্বভাবের। আসরের পরে চায়ের টেবিলে বাজি ধরে ঘোষণা দেয়, ‘৫ সেকেন্ডে গরম চা কে খেতে পারবে? কেউ সাহস না করলেও সে পুরো এককাপ টাটকা গরম চা খেয়ে ফেলে। তাৎক্ষণিক তার গলায় যন্ত্রণা শুরু হয়। ছটফট করতে থাকে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয়রা ঈদগাঁওর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। অবস্থা খারাপ দেখে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। তবে, সদর হাসপাতালে ভর্তির আগেই মারা যায় মোস্তাফা।
দোকানের মালিক মোহাম্মদ জমির উদ্দীন বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দোকান থেকে বের হয়ে বাসায় যাই। সারাদিনের ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়ি। ইত্যবসরে ছোট ভাই কায়েস ঘুম থেকে আমাকে ডেকে দেয়। ঘটনাটি অবগত করে। ততক্ষণে মোস্তফাও বাসায় যায়। তার শরীর খারাপ লাগার কথা জানালে দ্রুত ঈদগাঁও ডায়াবেটিস কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাই। প্রাথামিক চিকিৎসা দেন চিকিৎসক। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
ঈদগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, তিনবন্ধু খেলাচ্ছলে বাজি ধরে। তাদের একজন মোস্তাফা গরম চা খেয়ে ফেলে। এতে সে অসুস্থতাবোধ করলে হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। কেউ হয়রানির শিকার হবে না। সঠিক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
