parbattanews

ইয়াবার পোটলা পেটে পড়ার আগেই পুলিশের হাতে

পরিপাটি লোকটার কথাবার্তা অত্যন্ত ভদ্র। দেখে মনে হবেনা সে সুকৌশলী মাদককারবারী। পেটের ভেতরে করে ইয়াবা পাচার করাই তার আপাতত পেশা।

দীর্ঘ দিনের এই মাদকপাচারকারী অবশেষে নাইক্ষ্যংছড়ি পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে।

গ্রেফতার করা এই মাদক কারবারীর নাম মো. জামাল মোল্লা (৪০)। সে পাবনা জেলার সুজানগর থানার সাতবাড়য়া ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে।

ইতোপুর্বে টেকনাফ-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে পেটের ভেতরে করে ইয়াবার চালান নিয়ে গেছে অন্তত ১২ বার।

সেই পুরনো পদ্ধতিতে ১৩তম চালান নেওয়ার প্রস্তুতিকালে শুক্রবার (১১জুন) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের রেজু হেডম্যানপাড়ায় হাবিবুর রহমানের বাড়ির সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে ইতোপূর্বে পেটের ভেতর বহন করে ১২বার ইয়াবা পাচার করেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন জানান, সীমান্তের রেজু এলাকা থেকে জনৈক ব্যক্তি কৌশলে ইয়াবা পাচার করবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে গ্রেফতার জামাল মোল্লাহর কাছ থেকে ৩হাজার ৫৫০পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসব ইয়াবা ছোট ছোট (দেখতে কালো জামের মতো) পোটলা পেটের ভেতরে ভরে তা পানি দিয়ে গিলে খাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। যার ওজন ৩৫৫গ্রাম। কিন্তু পোটলাগুলি খাওয়ার আগেই পুলিশ পোটলায় মোড়ানো ইয়াবা উদ্ধার করেছে।

থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন পুলিশ পরিদর্শক মির্জা জহির উদ্দিন, এসআই মফিজুদ্দিন আহমদ, এএসআই মনির হোসেনসহ নাইক্ষ্যংছড়ি ও সোনাইছড়ি পুলিশ ফাড়িঁর অপারেশর দল।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনের কৌশলী মাদকবিরোধী সফল অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও মাদককারবারী গ্রেফতার হয়েছে। যা ইতোপূর্বে থানার কোন কর্মকর্তার দ্বারা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় মাদকবহনকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পর্দার আড়ালে থাকা মূল ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে।

Exit mobile version