parbattanews

ইয়াবা কারবারী সুলতানের দম্ভোক্তি!

এক সময়ের কাঠুরিয়া সুলতান আহমদ ওরফে বত্তাইস্যা

এক সময়ের কাঠুরিয়া সুলতান আহমদ ওরফে বত্তাইস্যা। ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে কাঠুরিয়া থেকে হয়ে গেলেন বড়সড় কারবারী। অপরাধ সংশ্লিষ্ট অপরাপর কারবারীদের সাথে মিলে মিশে দেদারছে ইয়াবা পাচারের কাহিনী এখন স্থানীয়দের মুখে মুখে। মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হলে সুলতান পালিয়ে গোপন আস্তনায় চলে যায়। সম্প্রতি অভিযানে ভাটা পড়ায় সুলতানরা ইয়াবা আস্তনায় বীরদর্পে ফিরে এসেছেন।প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে প্রশাসনের বিরুদ্ধে দম্ভোক্তি করাটাই এখন তার স্বভাবে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দোকানে বসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে যত্রতত্র বক্তব্য দিচ্ছেন।

ইয়াবা কারবারী সুলতান টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী স্কুলপাড়া এলাকার মৃত মকবুল আহমদের পুত্র বলে জানা গেছে।

এদিকে সুলতান, স্ত্রী ও ভাইসহ তার পরিবারের হাফ ডজন লোক ইয়াবা কারবারে জড়িত বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। র‌্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ইয়াবাসহ বেশ কয়েকবার আটক হয়েছিল ইয়াবা কারবারী সুলতান, স্ত্রী, ভাই আব্দুল গফুর এবং আব্দুর রহমান।

সুলতান এবং ভাই আব্দুর রহমান বেশ কয়েকবার ইয়াবাসহ আটক হয়ে পরবর্তীতে আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে জামিনে বেরিয়ে আসলেও এখনো কারান্তরীন রয়েছেন ভাই আব্দুল গফুর ওরফে দালাল গফুর এবং সুলতানের স্ত্রী।

একজন ইয়াবা কারবারী কর্তৃক প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং প্রকাশ্যে দম্ভোক্তির বিষয়টি খুবই দু:খজনক জানিয়ে তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক ও হ্নীলা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি নজরুল ইসলাম খোকন জানান, সিনহাকাণ্ড পরবর্তী সময়ে ইয়াবা কারবারীরা এলাকায় ফিরেছেন। তারা এখন সক্রিয়ভাবে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে। তিনি সুলতানসহ বাকি কারবারীদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

টেকনাফস্থ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত এক কর্মকর্তা জানান, আসলেই টেকনাফের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। এখানকার ইয়াবা কারবারীরা আবারো মাথাচড়া দিয়ে উঠছে। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ হবে।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি তদন্ত এবিএম দোহা বলেন, সুলতানের মত ইয়াবা রাজ্যের যত রাজা-প্রজা আছেন, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। মাদকসহ সব অপরাধীদের আস্তানা গুড়িয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষিত সমাজ, রাজনৈতিক কর্মী,সমাজ কর্মীসহ স্থানীয়রা দম্ভোক্তিকারী সুলতানসহ হ্নীলার বিভিন্ন এলাকায় ফিরে আসা অপরাপর ইয়াবা কারবারী এবং পাচারকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

Exit mobile version