ইয়াবা ব্যবসায়ী নির্মূলের ‘আশা’ দেখছে উখিয়াবাসী
সীমান্ত উপজেলা হিসেবে টেকনাফের পাশাপাশি উখিয়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা কমতি না থাকলেও উল্লেখ্যযোগ্য তেমন কোন অভিযান নেই পুলিশের খাতায়। অথচ টেকনাফে ইয়াবা ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইয়াবা ও মাদক ব্যবসা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। কিন্তু এখানকার চিত্র ভিন্ন। রহস্যজনক কারণে পুলিশের নিরবতার সুযোগে উখিয়ায় রমরমা চলছে ইয়াবা ব্যবসা। প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা চলাফেরা করলেও তাদের ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা নেই পুলিশ প্রশাসনের।
এদিকে রোহিঙ্গা শিবিরে ভিআইপি প্রটোকল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বের লিপ্ত থাকায় পুলিশ ইয়াবা বিরোধী অভিযানে তেমন একটা সময় দিতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়েরকে বদলী করা হয়েছে। উখিয়ায় ওসি হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছেন রামু থানার ওসি আবুল মনসুর। এমনটাই শোনা যাচ্ছে মানুষের মূখে মুখে।
দীর্ঘদিন পর নতুন ওসি পাওয়ায় ইয়াবা নির্মূলে কিছুটা হলেও আশা দেখছেন উখিয়ার সচেতন মানুষ। তাদের প্রত্যাশা ইয়াবা সাম্রাজ্য নতুন ওসি কিছুটা হলেও নাড়া দিবেন। ইয়াবার বিরুদ্ধে নতুন ওসি সোচ্চার হলে টেকনাফের মত উখিয়াতেও ধীরে ধীরে ইয়াবা নির্মূল কার্যক্রম অগ্রগতি পাবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
তবে উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, ইয়াবার বিরুদ্ধে পুলিশ বরাবরই কঠোর অবস্থানে ছিল। তাই বেশ কিছু শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ৬ মাসে উখিয়া থানায় মাদক মামলা রুজু হয়েছে ১৬০টি। আর এসব মামলায় আসামী হয়েছে ২৭২ জন। প্রতিদিনই ইয়াবার বিরুদ্ধে ‘স্পেশালভাবে’ কাজ করে পুলিশ।
২০১৭ সালের ২৫ আগষ্টের পর থেকে প্রায় সাড়ে ৭ লাখের অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয় নাগরিকের পাশাপাশি অতিরিক্ত এসব রোহিঙ্গাদের সামাল দিতে শুরু থেকেই হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। তারপরও এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার কারণে বড় ধরণের কোন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেনি। এরজন্য স্পেশালি উখিয়া থানা পুলিশ ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন সচেতন মানুষ। আর রোহিঙ্গা আসার পুরো সময়টা সামালে নেতৃত্ব দিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের। যার কারণে ইয়াবা নির্মূলে বেশি একটা সময় ব্যয় করতে পারেননি।
সচেতল মহল মনে করেন উখিয়া থানায় নবাগত ওসি হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছেন রামু থানার ওসি আবুল মনসুর। তিনি রামু থানায় দায়িত্ব পালনকালে ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিল। তাই উখিয়ার ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীরা একটু হলে আগের চেয়ে নড়েচড়ে বসতে পারে বলে তাদের ধারণা।
বদলীর ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়েরের নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু উখিয়ার প্রতিটি স্থানে লোকজন বলাবলি করতে দেখা গেছে বদলীর বিষয়ে।