ঈদগড়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এক রাতে ৫০টি গর্জন গাছ নিধন
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগড় রেঞ্জাধিন সদর ঈদগড় বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে চলছে বৃক্ষ নিধনযজ্ঞ। এক রাতেই চিহ্নিত বনসদ্যুরা কেটে নিয়ে গেছে ৫০ টির অধিক গর্জন গাছ।
জানা গেছে, ঈদগড় সদর বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বৌ ঘাট নিরিবিলি মৎস্য খামারের উত্তর পাশে জাফর আলমের গুনা নামক এলাকার গর্জন বাগান থেকে গত ২১ জুলাই রাত ১২ টার দিকে একদল সংঘবদ্ধ চিহ্নিত কাঠচোর প্রায় ৫০ টি গর্জন গাছ কেটে নিয়ে যায়। নিধন করা
এসব গাছ পাচারকারীরা ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক ও নদী পথে অন্যত্র পাচার করেছে। ঐ রাতে সর্বশেষ গর্জন গাছ বোঝাই একটি পিকআপ (ডাম্পার) নিয়ে যেতে সকাল হয়ে যায়। এ কারণে এসব গাছ গর্জন গাছ গজালিয়া এলাকায় লুকিয়ে রাখে বনদস্যুরা। খবর পেয়ে বন বিভাগের ঈদগড় রেঞ্জের একটি দল ২২ জুলাই সকালে অভিযান চালিয়ে লুকিয়ে রাখা ১০ টি গর্জন গাছ উদ্ধার করে বন বিভাগের হেফাজতে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঈদগড় সদর বিটের কতিপয় ভিলেজারদের প্রত্যক্ষ যোগসাজশে চিহ্নিত বনদস্যুরা ঈদগড় বিটের বিভিন্ন বনাঞ্চল ও কোদালিয়াকাটা এলাকার সামাজিক বনায়নের বাগান থেকে গাছ কেটে পাচার করে থাকে। বর্তমানে ঈদগড় রেঞ্জের বিভিন্ন বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও কোদালিয়াকাটা এলাকার সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নদী ও সড়ক পথে পাচার করা হচ্ছে।
ঈদগড় সদর বিটের বনকর্মী (ফরেস্ট গার্ড) আব্দুল্লাহ আল নোমান বিপুল পরিমাণ গর্জন গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি আরও জানান, গাছ নিধনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ঈদগড় রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল জব্বারের সাথে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সামাজিক বনায়নের গাছ নির্বিচারে নিধন বন্ধে কঠোর আইনাননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।