ঈদগাঁওতে আ.লীগের বিরুদ্ধে প্রবাসীর ঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ


কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে পলাতক আওয়ামী দোসর ও তাদের ভাড়াটিয়া বাহিনী কতৃক নিরহ প্রবাসীর ঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঈদগাঁও পাবলিক হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী গিয়াস উদ্দিন দাবি করেন, তার দুই সন্তান মাঈনুল ইসলাম ও রায়হানুল ইসলাম সৌদি প্রবাসে থাকে।
বিগত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে গোপনে সৌদি আরব পালিয়ে যান তাদের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী দোসর ইমরুল হাসান রাশেদ এবং তার ভাতিজা আফিয়াসহ অনেকে।
সৌদি আরবে পৌঁছে তার সন্তানদের কাছে আশ্রয় ও সহযোগিতা চান।এলাকার মান্যগন্য লোক হিসেবে আবদার রাখেন এবং তাদের তৈলের পাম্পে চাকরিও দেন। পরে চাচা রাশেদ অন্যত্র চলে গেলেও ভাতিজা আফিয়া রয়ে যায়। পরে আফিয়ার কাছে থাকা তার দুই সন্তানের তৈল বিক্রির সৌদি সাড়ে ১০ হাজার রিয়াল বুঝিয়ে না দিয়ে গোপনে অন্যত্র চলে যায়। দীর্ঘদিন পরও হিসাবের রিয়াল না দেয়ায় চাচা রাশেদকে জানালে দিয়ে দেবে বলে কথা দেয়। কিন্তু কথা দিয়েও কথা না রাখায় তার এক সন্তান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি পোস্ট করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা দেখে তাদের মান মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে বলে দেশে আওয়ামী দোসর রাশেদ চেয়ারম্যানর ভাই মোর্শেদসহ তাদের ভাড়াটিয়া দোসররা গত ২২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাদের ঘরে হামলার চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার কথা দেয় উভয় পক্ষ পুলিশকে। এতে পুলিশ চলে যায়।
এ সুযোগকে পুঁজি করে একই রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোরশেদের নেতৃত্বে আওয়ামী দোসররা আবারো তার ঘরে শ্লোগান দিয়ে হামলা করে। ঘরের দরজা খুলতে না পেরে গোয়াল ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে গ্লাস ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তারা ভয়ে ঘর থেকে বের না হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান।এতে তাদের অর্ধ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। প্রশাসনের নিকট গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা কামনা করে অবিলম্বে হামলাকারী আওয়ামী দোসরদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গিয়াস উদ্দিনের বড় ভাই কামাল উদ্দীন।
এদিকে একই সময়ে আওয়ামী দোসর ও তাদের ভাড়াটিয়া বাহিনীকে আইনের আওতায় আনতে ঈদগাঁও বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা।