ঈদগাঁওতে করোনা উপসর্গ ও বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু

fec-image

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে করোনা উপসর্গ ও বজ্রপাতের শিকার হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুন) এ ঘটনা ঘটে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সদর উপজেলার ঈদগাঁওস্থ ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাঁশকাটার বাসিন্দা বদিউল আলম আজাদ (৪৫) মঙ্গলবার (২ জুন) ভোর রাত ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তীব্র শ্বাস কষ্টে মৃত্যু বরণ করেন।

ওই দিন সকাল ১০টায় জানাজা শেষে স্থানীয় কৈলাসঘোনা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মরহুম বদিউল আলম আজাদ ওই এলাকার মৃত ফজলুল করিমের ছেলে। তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের জনক। পরিবারের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ শিক্ষিত। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি এলাকাস্থ ফুলছড়ি ইসলামিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ১৯৯৩ ব্যাচের মেধাবী ছাত্র এবং পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় অনার্সে কৃতিত্বের সাথে অধ্যয়ন করেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বদিউল আলম আজাদ কয়েকদিন পূর্বে সামান্য জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল।পরে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সোমবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে রেফার দিলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ছোট ভাই নুরুল আলম সারাক্ষণ তার সঙ্গে ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালেই ভোরে মারা যান। তবে প্রতিবেশীরা মরহুম বদিউল আলমের মৃত্যু করোনা উপসর্গে হয়েছে বলে জানান।যদিওবা পরীক্ষা রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।

এদিকে ফুলছড়ি মাদ্রাসার সাবেক এ কৃতি শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে ১৯৯৯ ব্যাচের পক্ষে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক আনোয়ার হোছাইন। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকাহত স্বজনদের সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং মরহুমের জন্য আল্লাহর নিকট সর্বোচ্চ জন্নাত কামনা করেন।

এদিকে পৃথক অপর ঘটনায় একই দিন ঈদগাঁওস্থ ইসলামপুরে বজ্রপাতে আবুল কালাম (৪৫) নামের এক লবণ শ্রমিক নিহত হয়েছে। এসময় আরও দুই শ্রমিক আহত হয়।

মঙ্গলবার (২ জুন) বেলা ১টার দিকে ইসলামপুর ইউনিয়নের খাঁনঘোনা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী পূর্ব ইছাখালী গ্রামের বাসিন্দা এজাহার মিয়ার ছেলে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, খাঁনঘোনা মাঠ থেকে উত্তোলিত লবণ ইসলামপুর খালে নোঙ্গরকৃত কার্গো ট্রলারে বোঝাই করছিল শ্রমিকরা। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। একই সময় আহত হয় আরও দুই শ্রমিক। এদের একজনের বাড়ি খাঁনঘোনা ও অপরজন ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুল কবির জানান, আহত দুই শ্রমিকের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত আবুল কালামের দাফন একই দিন বিকাল ৫টায় সম্পন্ন করা হয়। ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন