ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে

ঈদগাঁওতে কোরবানির জমজমাট পশুর হাট, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি

fec-image

রেকর্ড সর্বোচ্চ রাজস্ব দিয়ে সরকারের উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নেওয়া হবে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারের কোরবানি পশুর হাট অতীতের মত এবারও মহাসড়কের উভয় পাশে বসেছে। উপজেলা প্রশাসনের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঐতিহাসিক ভাবে পূর্বের স্থানেই উপজেলা প্রশাসন ইজারাদারকে বাজার বসানোর অনুমতি দিয়েছে। ইতিমধ্যে ঈদগাঁও বাজার কোরবানির পশুর হাট ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে দারুন ভাবে জমে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়,টানা ভারি বৃষ্টিতে যাতে পশু রাখা ও ক্রয় বিক্রয়ে ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য বাজার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ উভয় পাশে ছাউনী তৈরি করে দিয়েছে পশু বিক্রেতা ও ক্রেতাদের জন্য।যাতে ঝড় বৃষ্টিতে নির্বিঘ্নে বেচাকেনা করতে পারে। এ সুবিধার কারণে বৃষ্টির মধ্যেও পশু বিক্রেতারা তাদের পশু নিয়ে দুপুরের আগেই বাজারে উপস্থিত হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ক্রেতারাও তাদের পছন্দের পশু কোরবানির জন্য পুরো বাজার ঘুরে ঘুরে দেখে ক্রয় করছেন।

‌বাজার কতৃপক্ষের রফিক জানান, কতিপয় দোসর আড়ালে থেকে পশু আনার পথে পশু জিম্মি করে একাধিকবার চাঁদা আদায় করেছে।পরে প্রশাসনের চাপে ব্যর্থ হয়ে গরু বাজারের বিরুদ্ধে নানামুখী অপপ্রচার চালাচ্ছে। পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের বাজার বিমুখ করতে অসুস্থ পশু, মায়ানমারের গরু, অতিরিক্ত হাসিল আদায়সহ নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাজার বিমুখে ব্যর্থ হয়ে সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে মর্মে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্তের অপচেষ্টা চালাচ্ছে নব্য চাঁদাবাজ চক্র। তিনি প্রশাসনকে এ মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানান।

ইজারাদার আব্দুর রহিম জানান, পশুর হাটের নির্ধারিত স্থান ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী এবার সরকারকে রেকর্ড সর্বোচ্চ রাজস্ব দিয়ে এ বাজার ইজারা নিয়েছেন। সুতরাং উপজেলা প্রশাসনের যেহেতু পশুর হাট বসানোর বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা নেই,সেহেতু পূর্বেরমত মহাসড়কের উভয় পাশে কোরবানির পশুর হাট বসেছে।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং এবার প্রশাসনের পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যানজট ও নানা সমস্যা নিরসনে স্বেচ্ছাসেবকরা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। বাজার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কেউ যদি সরকারি নিয়ম বহির্ভূত অতিরিক্ত হাসিল আদায়সহ অবৈধ অন্য কিছু করে এর বিরুদ্ধে তিনি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক বাজার তদারকিতে আছেন।

তিনি আরোও জানান,একটি চক্র জেলার বাণিজ্যিক নগরী খ্যাত এ বাজারকে অকার্যকর করে সরকারকে আগামীতে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করে নিজেদের পকেট ভারী করার দীর্ঘ মেয়াদী চক্রান্তে মেতেছে বলে অভিযোগ তুলেন। তিনি এ চক্রান্তে বিভ্রান্ত না হয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানান।

উপরোক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার সাথে কথা হলে জানান, ঐতিহ্যগত ভাবে এ বিশাল পশুর হাটটি যুগ যুগ ধরে মহাসড়কের উভয় পাশে চলে আসছে । এবার ও তার ব্যতিক্রম হয়নি।কোরবানির হাটের কারণে সড়কে যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ট্রাফিক, থানা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। এছাড়া ইজারাদার পক্ষের স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করছে।

এখন পর্যন্ত অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হয়নি এবং আগামী তিনদিনও কঠোর নজরদারি রাখা হবে। সড়কে পশুর হাট না বসানোর সরকারি নির্দেশেনা থাকলেও ছোট্ট এ উপজেলায় পশুর হাটের জন্য বিকল্প কোন জায়গা নেই। সুতরাং ঐতিহাসিক ভাবে এ বাজারটি এখানেই হয়ে আসছে এবং বাজারটি কোরবানির দিন পর্যন্ত নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে বাজার কতৃপক্ষকে সহযোগিতা করা উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদগাঁও
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন