ধর্ষক আলতাজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ঈদগাঁওতে ধর্ষণ মামলায় ক্ষিপ্ত হয়ে বসতভিটা দখল করে বাদীকে হুমকির অভিযোগ

fec-image

প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবাসীর বসতভিটা জবর দখল ও বাদীকে মামলা তুলে না নিলে হত্যা ও গুমের হুমকির ঘটনায় জড়িত আলতাজের বিরুদ্ধে বাদী প্রবাসীর স্ত্রী হামিদা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতজোলাকাটার মোহাম্মদ হোছনের কন্যা প্রবাসী আবদুল করিমের স্ত্রী হামিদা বেগম সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবত থানার নিকটস্থ শাহ ফকির বাজার এলাকায় প্রবাসী স্বামীর ক্রয়কৃত বন বিভাগের দখলীয় জায়গার উপর সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন।

ইত্যবসরে স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিকটবর্তী ইসলামপুর আউলিয়াবাদ এলাকার মৃত করিম উল্লাহর ছেলে চিহ্নিত আওয়ামী দোসর আলতাজ হোসেন বাজার কমিটির সহ-সভাপতি হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আলতাজ সময়-অসময়ে, রাত-বিরাতে তার বসত ঘরে আসা যাওয়া শুরু করে।

এ সংবাদ তার প্রবাসী স্বামী জানলে, সে ভরণপোষণ দেয়াসহ যাবতীয় যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ সুযোগে আলতাজ তাকে এবং তার ছেলেমেয়েদেরকে লালনপালনের প্রলোভনে ফেলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এরপর থেকে আলতাজ ঘরে ও হোটেলে বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করে।

ইত্যবসরে ব্যবসা-বাণিজ্যে টাকা প্রয়োজনের কথা বলে এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ার নামে আলতাজ বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে স্বাক্ষরসহ একাধিক অলিখিত খালি স্ট্যাম্প নেয়। এমনকি আলতাজ তার প্রবাসী স্বামী যেন পরে বসতভিটা থেকে তাকে উচ্ছেদ করতে না পারে

এ কথা ফুঁসলিয়ে স্বামীর বসতভিটাটি স্ত্রী হামিদার ক্রয়কৃত মর্মে স্ট্যাম্প মূলে একটি জাল কাগজও সৃজন করে দেয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে সন্তান ও পরিবারের সাথে তার সম্পর্ক একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

গত ৬ এপ্রিল আলতাজ তার ঘরে আসলে নিরুপায় হয়ে আলতাজকে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করলে বিয়ের প্রলোভনে পুনরায় রাতভর ধর্ষণ করে। অতি চাপের কারণে পরদিন ৭ এপ্রিল কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করতে তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন বলে আরও একটি স্বাক্ষর সহ অলিখিত স্ট্যাম্প নেয় ।

এরপর থেকে আলতাজ আসা যাওয়া এবং যোগাযোগ কমিয়ে দিলে কাবিননামা ও আকদ সম্পাদন করে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে আদায়কৃত উক্ত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তাকে বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেয় এবং বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়।

এতে স্বামী সন্তান থেকে বিমুখ হয়ে পড়া নিরুপায় হামিদা বেগম বাদী হয়ে এর প্রতিকার চেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আলতাজ হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলা পরবর্তী আসামি আলতাজ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার প্রবাসী স্বামীর ক্রয়কৃত বসতভিটার অর্ধেক জায়গা বনবিভাগের যোগসাজশে জোরপূর্বক দখল করে তার থেকে আদায়কৃত অলিখিত স্ট্যাম্প দিয়ে একটি ভূয়া কাগজ তৈরি করে জায়গাটি তার বলে দাবি করে। এছাড়া মামলা তুলে না নিলে বাদীনিকে হত্যা ও লাশ গুমের হুমকি দেয়।

এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীন হামিদা বেগম জীবনের নিরাপত্তা ও বসতভিটা উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট আদালতের নিকট ন্যায় বিচারের আশায় সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভিকটিমের কন্যা তার মায়ের প্রতি অবিচার ও তার পৈতৃক ভিট আলতাজের জবরদখল থেকে ফিরে পাওয়ার দাবি জানায়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদগাঁও, কক্সবাজার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন