ঈদগাঁওতে মৃত গরু জবাইয়ের অভিযোগ ঈদগাঁও প্রতিনিধি


কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে মৃত গরু জবাইয়ের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ বিষয়টি জানাজানি হলে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রোববার (২৫ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে ঈদগাঁও গরু বাজার আড়তে এ ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে জানা যায়, সিএনজি যোগে জবাই করা একটি গরু তড়িঘড়ি করে আড়ত থেকে বের করে রামু-কক্সবাজারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।এ সন্দেহের কারণে সিএনজিটির পিছু নেয় স্থানীয় কতিপয় গণমাধ্যম কর্মী।
এক পর্যায়ে সিএনজিটি মহাসড়কের কালিরছড়া অতিক্রম কালে থামতে বাধ্য হয়।এসময় সিএনজিতে থাকা দু’জন কসাইয়ের কাছে গরুটির বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,জবাই করা গরুটি রামু’র আব্দুল্লাহ্ নামে একজন লোকের। তার কথা মতো গরুটি জবাই করে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা এ-ও দাবি করেন গরুটি অসুস্থতার কারণে মূমুর্ষ হয়ে পড়ায় জীবিত অবস্থায় জবাই করা হয়েছে ।
এসময় তাদের কাছ থেকে গরু মালিক আব্দুল্লাহ’র মোবাইল নাম্বার নিয়ে কল দিলে তিনি গরু জবাইয়ের কথা সম্পুর্ন অস্বীকার করেন।
অথচ আড়ত থেকে জবাইকৃত গরুটি সিএনজি যোগে পরিবহনের ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট সংরক্ষিত আছে।
গরু বাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,অনেক সময় মাংস বিক্রেতা ও কসাইরা অসুস্থ ও মৃত গরু বাজার ও উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নামে মাত্র মূল্যে সংগ্রহ করে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও বাহিরের মাংস ব্যবসায়ীদের বিক্রি করে ভুক্তাদের সাথে চরম প্রতারণা করে আসছে দীর্ঘদিন। যা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে দিন দিন আশঙ্কা জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঈদগাঁও বাজার ইজারাদার আব্দুর রহিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান , ঢাকায় থাকাতে তিনি গরু জবাইয়ের বিষয়ে জানেন না।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. মছিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নয় জানান।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার মোবাইলে বারবার কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের দাবি, গরুর আড়ত ও মাংসের দোকানগুলোতে নিয়মিত নজরদারি চালানো হোক।যাতে মৃত বা অসুস্থ পশুর মাংস বাজারে বিক্রি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করতে না পারেন।তারা অবিলম্বে এ গরু জবাইকারী আবদুল্লাহকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।