parbattanews

ঈদগাঁওতে স্ত্রী ও দুই কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার, স্বামী কারাগারে

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার মামলার প্রধান আসামি শহিদুল হককে অবশেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (৮ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে জামিন আবেদন করলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এড. মো. আমির হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আমির হোসেন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় নিহত স্ত্রী জিসান আকতারে মা মোহছেনা আকতার বাদী হয়ে মেয়ে জামাইকে প্রধান আসামি করে ঈদগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলো প্রধান আসামি শহিদুলসহ অন্য আসমিরা।

এর মধ্যে গত ১১ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারক মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারক মোহাম্মদ সেলিম এর আদালতে জামিনের আবেদন করলে শহীদুল হকের চার সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে, পরে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দেন।

তিনি আরো জানান, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী চার সপ্তাহ পর কক্সবাজার জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহীদুল হক জামিন নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে এ আলোচিত তিন লাশ উদ্ধার ঘটনার প্রকৃত রহস্য এখনো ঘোর অন্ধকারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের প্রশ্ন স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যাকে কি শহিদুল হক খুন করেছে? না বহিরাগত কোন ঘাতক দলের হাতে খুন হয়েছে? না আত্মহত্যা? তারা নিহত জিসান ও তার অবুঝ দুই শিশু কন্যা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে আসল খুনিদের গ্রেপ্তার করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে ২২ ডিসেম্বর ঈদগাঁও উপজেলার নতুন অফিস মধ্য নাপিত এলাকার মৃত আজিজুর রহমান এর ছেলে শহিদুল হক তার স্ত্রীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শহিদুল হক তার স্ত্রী জিসান আক্তারকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনা দুই শিশু কন্যা দেখে ফেলায় তাদেরকেও হত্যা করে পালিয়ে যায় শহীদুল ইসলাম। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ মা ও দুই শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার করে। তখন থেকে শহিদুল হক ও তার পরিবার এ ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায় বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

Exit mobile version