ঈদগাঁওয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীর গুলিতে সমন্বয়ক পিতা হত্যার প্রতিবাদে অবরোধ


কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের সমন্বয়ক সাদিদুল হুদা চৌধুরীর পিতা হাবিবুল হুদা চৌধুরী প্রকাশ ভিসিআর কালুকে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র জনতা সড়ক অবরোধ করেছে।
এর পূর্বে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে শনিবার(১৫ মার্চ) আছরের নামাজের পর নিহতের লাশ দাফন করা হয়।
লাশ দাফন পরবর্তী সন্ধ্যা সাতটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার বিক্ষোভ মিছিলটি ঈদগাঁও বাস স্টেশন থেকে মহাসড়ক হয়ে ঈদগাঁও থানার সামনে মহাসড়কের উপর অবস্থান নেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা খুনের ঘটনার জন্য থানার ওসির নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে বলেন, নিহতের পরিবার বিরোধের বিষয়ে ওসিকে বারবার অবগত করলেও তিনি গুরুত্ব দেননি। এমনকি ঘটনার দিন দুপুরে প্রথম দফা ঘটনার পরও পুলিশকে কোন ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। যার পরিণাম হচ্ছে রাতে দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি করে ঘরের ভিতরে হাবিবুল হুদা চৌধুরীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
বিক্ষোভকারীরা সড়কের উপর আগুন জ্বালিয়ে দীর্ঘ আধ ঘন্টা অবস্থান নেন । যার কারণে সড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ইত্যবসরে ওসি মোহাম্মদ মশিউর রহমান বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে ছাত্র-জনতা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তিনি পিছু হটে থানা কম্পাউন্ড এ চলে যান। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য তারেকুর রহমান, এড.মোবারক সাঈদ ও এড.এস কে ফারুকি গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাজ্জাক চেয়ারম্যানসহ অন্য খুনিদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হলে ওসি মোহাম্মদ মশিউর রহমানকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
অন্যথায় ছাত্র জনতা বৃহৎ আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল অবরোধস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত ছাত্র জনতার দাবি শুনেন এবং তড়িৎ খুনিদের গ্রেফতারে আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার(১৪ মার্চ )রাত পৌনে দশটার দিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের শিকদার পাড়ায় জায়গা বিরোধের জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে প্রতিপক্ষ ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক এর সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র প্রতিনিধি সদিদুল হুদা চৌধুরীর পিতা হাবিবুল হুদা চৌধুরী নিহত হয়। এছাড়া উভয় পক্ষের নারী পুরুষ সহ আরো কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়। ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে
পর দিন শনিবার আছরের নামাজের পর নিহতের লাশ দাফন করা হয়।