কক্সবাজার জেলা ঈদগাঁওয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অব্যাহত প্রতিবাদ ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জেরে অবশেষে কথিত উৎসব ও অবৈধ লাকী কুপন লটারি বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে।সোমবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জুলাই স্মৃতি চর্চা ও পিঠা উৎসব নামের কথিত মেলা বন্ধের নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য, চলতি জানুয়ারির শুরু থেকে"জুলাই স্মৃতি চর্চা ও পিঠা উৎসব" নামের কথিত মেলাকে কেন্দ্র করে আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে আয়োজকদের চরম বিরোধ দেখা দেয়। উভয় পক্ষ পরস্পর বিরোধী মানববন্ধনও করে।দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের মুখে ১৬ জানুয়ারি উৎসব শুরুর চেষ্টাও করে।অবশেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিবাদ ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জেরে জেলা প্রশাসন উক্ত উৎসব বন্ধের নির্দেশ দেয়।অপরদিকে বিগত ৮ জানুয়ারি কক্সবাজার শিল্প ও বস্ত্র মেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরোহী লাকী কুপন নামের ডিজিটাল জুয়ার কুপন বিক্রি বন্ধ করে দেন। কিন্তু এরপরও ঈদগাঁও মাইজ পাড়ার রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি দৈনিক বেতনে লোক নিয়োগ করে ঈদগাঁও বাজারের শাপলা সত্বরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মাইকিং করে এ নিষিদ্ধ লাকী কুপন বিক্রি করে বিগত নয় দিন যাবত প্রতারণা করে উপজেলার সাধারণ জনগণের লাখো টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মর্মে সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সোমবার প্রকাশিত হলে লাকী কুপন বিক্রেতা চক্র গা ঢাকা দেয় সোমবার থেকে।সচেতন জনগণের দাবি এ লাকী কুপন বিক্রেতা চক্রকে আইনের আওতায় এনে হাতিয়ে নেয়া টাকা উদ্ধার পুর্বক শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক।