parbattanews

ঈদগাঁওয়ে গৃহবধুর ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার, আটক ২

গৃহবধু তুফামণির লাশ

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওয়ের পোকখালী থেকে তুফা মনি (২২) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে চলছে নানা কানাঘুঁষা।

২০ মে সোমবার সন্ধ্যায় পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাখালী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনাটি ওই দিন বিকাল ৩ টার দিকে ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ নিহতের শাশুড়ি এবং এক ননদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে ।

প্রতিবেশী সুত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের খোনকার খীল এলাকার আইয়ুবুর রহমানের কন্যা নিহত তুফা মনির সাথে পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাখালীর নজির আহমদের ছেলে সিএনজি চালক রেজাউল করিমের ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রয়েছে এক কন্যা সন্তান । দীর্ঘদিন সুখে শান্তিতে সংসার করে আসলেও সম্প্রতি তাদের মাঝে সম্পর্কের অবনতি হয়। এর জেরে তুফা মনিকে একাধিকবার মারধরের ঘটনাও ঘটে।

২০ মে সোমবারও তাকে মারধর করে স্বামী রেজাউল করিম। মারধরের পরে ঘরের কক্ষে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় শ্বশুর পক্ষের লোকজন তুফা মনিকে উদ্ধার করে ঈদগাঁওস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

পরে সংবাদ পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামানের নির্দেশে এসআই সনজিত চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরহতাল তৈরি পূর্বক নিহতের লাশ ও তার শ্বাশুড়ি ও এক ননদকে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই সনজিত চন্দ্র নাথ জানান, নিহতের গলায় ওড়না পেঁচানোর আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলেই হত্যা, না আত্মহত্যা জানা যাবে।

এদিকে তুফা মনির মৃতদেহ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসার সংবাদে স্বজনরা ভীড় জমাতে শুরু করেছে । তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জড়িত সন্দেহে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।নিহতের পক্ষে মামলা দায়ের করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে নিহতের বাবা আইয়ুবুর রহমানের দাবী, তার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধর করে হত্যা করে, আত্মহত্যা বলে নিজেদের রক্ষা করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী রেজাউল করিম পলাতক রয়েছে। স্বামী পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পাওয়াই তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version