parbattanews

ঈদগাঁওয়ে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার হাজার হাজার একর উর্বর ফসলি জমির মাটি লুটের মহোৎসব চলছে। ডজনাধিক ইটভাটা মালিক এর নেপথ্যে বলে কৃষকরা দাবি করছে।

এলাকাভিত্তিক বিশেষ করে শুক্রবার রাত-বিরাতে ডজনাধিক এক্সেভেটর দিয়ে এ মাটি কাটা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে এসব ফসলি জমি বিরাণভূমিতে পরিণত হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে আসন্ন শস্য মৌসুম। চলমান মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা কমে যাওয়ায় শস্য উৎপাদন নিয়ে চরম আতঙ্কিত স্থানীয় কৃষকরা।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ডজনাধিক পয়েন্টে ১৫-২৯টি এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। বিশেষ করে ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ ও জালালাবাদ ইউনিয়নে চলছে ফসলি জমির টপ সয়েল খ্যাত শস্য জন্মানোর অন্যতম অংশ কাটার মহোৎসব। উর্বর এই মাটি ডাম্পার প্রতি ১-২ হাজার টাকা মূল্যে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

অপরদিকে এসব ইউনিয়নের গুরত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে রাত-দিন শতাধিক বেপরোয়া মাটি ভর্তি ডাম্পার চলাচলের কারণে সরকারের হাজারো কোটি টাকায় নির্মিত রাস্তাঘাট লণ্ডভণ্ড হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

এভাবে টপ সয়েল লুটের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। এ মাটি লুট চক্র সরকার, জনগণ ও কৃষকের ক্ষতির তোয়াক্কা না করে রাতেও শক্তিশালী ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে বিশেষ চক্রের সহায়তায় টপ সয়েল কাটা অব্যাহত রেখেছে ইটভাটা মালিকরা। অনুমোদন ও পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন এ ইটভাটাগুলো বিগত প্রায় ২ যুগ ধরে এলাকার পরিবেশ ধ্বংস ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যগত হুমকি সৃষ্টি করলেও রহস্যময় কারণে সবসময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান ফোন রিসিভ না করায় এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন,  ‌‌‘ফসলি জমি থেকে টপ সয়েল কাটা বন্ধ করতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। টপ সয়েল কাটা বন্ধে পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

Exit mobile version