উখিয়ায় অবৈধ অটোরিকশার গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুটি গরুর মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অবৈধ গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৩ জুন) সকাল সাতটার দিকে পালংখালীর শফিউল্লাহকাটা এলাকায় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক লাগোয়া জসিম উদ্দিন ওরফে কানা জসিমের গ্যারেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া গরু দুটির মালিক পালংখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গয়ালমরা এলাকার মৃত রোস্তম আলির ছেলে মো. ইসমাইল।
ভুক্তভোগী মো. ইসমাইল বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে গরুগুলো মাঠে ঘাস খেতে যায়। হঠাৎ খবর আসে আমার দুটি গরু মারা গেছে। খবর পেয়ে জসিমের গ্যারেজ গেলে গরু দুটি মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গরু দুটির মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা বলে দাবি করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিদ্যুৎতেই মেইন সুইচ বা অটো সুইচ বন্ধ না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গরু দুটি তারে প্যাঁচিয়ে এবং আইপিএস ও অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মুহূর্তেই মারা যায়। গ্যারেজে অটো সুইচের ব্যবস্থা থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জসিমের গ্যারেজে সারিবদ্ধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো। আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে কোনো অটো সুইচ দেখা যায়নি। মহাসড়ক লাগোয়া এই গ্যারেজের মূল ফটকে নির্দিষ্ট কোনো পাহারাদার বা দেখভালের জন্য তেমন কাউকে দেখা যায়নি। বৈদ্যুতিক তারগুলো এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি গ্যারেজে মালিকের বেশকিছু অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা গেছে। এই গ্যারেজে প্রতিদিন ৫টি অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে সরেজমিনে গেলে গ্যারেজ মালিক জসিম উদ্দিনকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রীকে পাওয়া গেছে। স্ত্রী মনিরা বেগম ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জসিম উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ব্যক্তিগত কারণে এলাকার বাইরে আছি। বর্তমানে বেনাপোলে অবস্থান করছি। দুই-তিন দিনের মধ্যে এলাকায় এসে ঘটনাটির সমাধান করব।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির কারণে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অটোরিকশার অবৈধ গ্যারেজ। যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে উভয়পক্ষ আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি।
উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎয়ের পালংখালীস্থ অভিযোগ কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ আবুল বশর মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিছু কিছু অব্যবস্থাপনা চোখে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।