parbattanews

উখিয়ার তুতুরবিলে ভালবেসে বিয়ে করার খেসারতে জেল খাটছে প্রেমিক

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ার তুতুরবিল গ্রামের কবির আহমদের কন্যা সুমাইয়া কবির আরজু কে ভালবেসে বিয়ে করার খেসারত হিসাবে প্রেমিক ইমাম হোসেন প্রকাশ লাপ্পু এখন জেল হাজতে ঘানি টানছেন। সাজানো মামলার শিকার হয়ে নববিবাহিত বর ও কনের নতুন সংসার ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গেছে।

জানা যায়, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল গ্রামের ফকির আহমদের পুত্র ইমাম হোসেন লাপ্পুর সাথে একই গ্রামের সুমাইয়া কবির আরজুর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘ ৪ বছর ভালবাসার চুড়ান্ত মর্যাদা দেওয়ার জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রেমিক প্রেমিকা পালিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

অভিযোগে প্রকাশ লাপ্পু ও আরজুর প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি কনের পরিবার। অপহরণের অভিযোগ এনে মেয়ের পিতা কবির আহমদ বাদী হয়ে ইমাম হোসেন লাপ্পুর বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ২৩, তারিখ: ১৮/০৩/২০১৮ইং।

এদিকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কক্সবাজার শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার শুরু করে নব-দম্পত্তি। গত ১৮ মার্চ স্বামী স্ত্রী নিজ স্বামীর বাড়িতে বেড়াতে আসলে ওই দিন রাতে পুলিশ স্বামী ইমাম হোসেন লাপ্পুকে গ্রেফতার করে।

লাপ্পুর পরিবারের অভিযোগ স্বামীকে গ্রেফতারের পর পর তার স্ত্রী আরজুকে জোরপূর্বক নিয়ে যায় তার পিতা। বর্তমানে তাকে সেখানে আটকিয়ে রেখেছেন। ছোট ভাই নুরুল ইসলাম (৩২) জানান, আমার ভাই কাউকে অপহরণ করেনি। ৪ বছর আরজুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে অবশেষে তারা দু’জনেই সম্মতিতে বিবাহ করে। তিনি আরও বলেন, কনের মা, ভাবিসহ অন্যান্যরাও এ বিবাহ সম্পর্কে অবগত ছিল। শুধু মাত্র আমাদেরকে হয়রানী করার কু-উদ্দেশ্যে একটি সাজানো মামলা করে আমার ভাই লাপ্পুকে আটক করা হয়। প্রেম করে বিয়ে করার খেসারত হিসাবে বর্তমানে তিনি জেল হাজতে রয়েছে।

ভগ্নিপতি মো. আলম (৪০) অভিযোগ করে বলেন, পিতা কবির আহমদ মেয়ে অপহরণ অভিযোগ এনে যে মামলাটি করেছে এটা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। লাপ্পু আরজুকে অপহরণ করেনি। বরং দীর্ঘদিনের প্রেমের মর্যাদা দিতে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আজ তার এ করুন পরিণতি খুবই দুঃখজনক। আমরা প্রশাসনের কাছ মিথ্যা মামলার শিকার লাপ্পুর ন্যায় বিচারের আবেদন জানাচ্ছি।

Exit mobile version