উখিয়ার পশুর হাটে সাড়া ফেলেছে ‘মানিক’

fec-image

উখিয়া উপজেলা রত্নাপালং ইউনিয়নের কামারিয়ার বিল গ্রামের মোহাম্মদ আলী হোসেন অনেক শখ করে গরুটি পালন করেছে। উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট, দীর্ঘ প্রায় ৯ ফুটের কাছাকাছি। বয়স সাড়ে তিন বছর। স্বাভাবিক খাবার খেয়ে ওজন ১৫ মণ। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘মানিক’। গরুটি ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) উখিয়ার ঐতিহ্যবাহী গরু বাজারে এই ‘মানিক’কে দেখতে উৎসূক জনতা ভীড় জমাতে দেখা যায়। চলছে মানিক’কে নিয়ে আলোচনা। কেউ কেউ বলছেন, এটিই এবার উপজেলার অন্যতম বড় গরু বিবেচিত হতে পারে। এখনো পর্যন্ত মানিকের তুলনায় কোন পশু হাটে তোলা হয়নি।

গরুটির মালিক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি নিজে গরুটি যত্ন সহকারে লালন-পালন করেছি। এটির বয়স সাড়ে তিন বছর। এখন পর্যন্ত চার দাঁত। এ ধরনের গরু আট দাঁত পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমার গরুটির বর্তমান ওজন প্রায় ১৫ মণ। স্বাভাবিকভাবে এ জাতের গরু ২০-২৫ মণের হতে পারে।

তিনি জানান, গরুটি বড় করার ক্ষেত্রে তিনি স্বাভাবিকভাবে খড়, কুঁড়া, ভুসি, গমভাঙা, খৈলসহ প্রাকৃতিক খাবারই খাইয়েছেন। মোটাতাজাকরণের বিশেষ কোনও পদ্ধতি তিনি ব্যবহার করেননি। গরুটি তিনি ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করতে আগ্রহী। ক্রেতারা আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত দাম চেয়েছেন।

এর নাম “মানিক” কেন, জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গরুটিকে আমার ছেলে/মেয়ের মতো আদর করি। ছেলেদের নামের সাথে মিলিয়ে নাম রেখেছি মানিক।

কোরবানির পশুর নামকরণে কোনও বিধিনিষেধ আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মৌলভী রফিক উদ্দিন বলেন, ‘কোরবানির জন্য গরুর নামকরণ করা অনর্থক কাজ। কোরবানির সঙ্গে এ ধরনের নামকরণের কোনও যোগসূত্র নাই। যিনি পালন করেন তিনি বিভিন্ন নামে ডাকতে পারেন। কিন্তু যিনি কিনবেন তার কাছে এর কোনও প্রভাব নেই। কোরবানির গরুটি নিখুঁত কিনা সেটা দেখাই যুক্তিযুক্ত।

উখিয়া প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর চাহিদা অনুযায়ী কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আগে থেকে ইজারাদার এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। যারা নির্দেশনা মানছেনা তাদেরকে জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উখিয়ার, পশুর হাটে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন