parbattanews

উখিয়ার মনখালীতে কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ

উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী এলাকায় মেরিণ ড্রাইভের পাশে কোটি টাকা মূল্যের সরকারি খাস জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে পালংখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসি ইয়াবা সম্পৃক্ততা সহ নানান অভিযোগ তুলেছেন।

সরজমিন ঘুরে দেখাযায়, উখিয়া উপজেলার একদম সীমান্ত পয়েন্ট মনখালী ব্রীজের পূর্ব পাশে অর্থাৎ মনখালী-হোয়াইক্যং সড়কের সন্নিকটে বিশাল চাষাবাদের জমি ভরাট করে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে  যাচ্ছে জামাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। কেউ যেন গোপনে প্রকাশ্যে ভিডিও ধারণ করতে না পারে সেজন্য রাস্তায় বেশ কয়েকজন যুবককে পাহারায় নিয়োজিত রেখেছে জামাল। এই প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি প্রথমে সহজ মনে হলেও পরবর্তীতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে কৌশলে ছবি তুলতে হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের নিকট থেকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কেউ ভয়ে, আতঙ্কে মুখ খুলতে রাজী হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মুছা বলেন, জায়গাটি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত৷ তবে ওই এলাকা আব্দুল মাবুদ জায়গাটি খতিয়ানভুক্ত বলে প্রথমে জামালের নিকট থেকে অগ্রিম টাকা নেয়। পরে খতিয়ানভুক্ত জায়গার মাথাখীলা দাবি করে তাকে বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার-সালিশ ও হয়েছে। তবে জামালের ব্যাপারে এতো বেশি অবগত নয় বলে জানান তিনি।

মনখালী এলাকার নুরুল হক বলেন, জামালের পিতার বাড়ি পালংখালীতে। সে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে পালংখালী থেকে পালিয়ে এসে মনখালীতে আশ্রয় নেয় জামাল। এইখানেও এসে পুরোদমে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছে। তার কারণে মনখালী এলাকার যুব সমাজ দিন দিন ইয়াবা ব্যবসা জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন নুরুল হক।

এ ব্যাপারে জামাল উদ্দিন জানান, তার পিতার বাড়ি পালংখালীতে হলেও মনখালীতে তার আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। সেই সুবাধে জায়গাটি ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করছে৷ আর ইয়াবা সম্পৃক্ততার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন। তবে জায়গাটি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত বলে স্বীকার করেন সে।

উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি)আমিমুল এহসান খান বলেন, এ ব্যাপারে অবগত ছিলাম না, এখন বিস্তারিত খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Exit mobile version