parbattanews

উখিয়ায় অভিযোগকারীদের চিঠি ইস্যু করে অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার!

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অপকর্ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডসহ নানা অভিযোগে চলমান তদন্ত ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তার ১৫ মার্চ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মারক নং-উশিঅ/উখিয়া/২৩/১৬০) আভিযোগকারীদের আগামী বুধবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় তার কার্যালয়ে তদন্তানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। ওই চিঠিতে তিনি কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্মারক নং-জেপ্রাশিঅ/কক্স/২৩/২৫২(১০) প্রেরিত চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক এই আহবান করা হয় বলে জানান। যদিও চিঠিটি এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত অধিকাংশ আভিযোগকারী হাতে পৌঁছেনি।

এ চিঠির বিষয়ে অভিযোগকারী বলেন, উখিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অপকর্ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডসহ নানা অনিয়মের একটি অভিযোগ করি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় উপ পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।

এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি (স্মারক নং ৩৮.০১.০০০০.০০০.২৭.০৫৫.৫৪৭.২১-৪০৭/৫) প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় উপ পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম প্রেরিত এক চিঠিতে দেওয়া নির্দেশ মতে পত্র প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের কথা বলা হয়।

অভিযোগকারীরা আরো বলেন, সম্প্রতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তদন্তের নামে এক ধরনের প্রহসন করছেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে। এটি চোরকে বিচার করতে দেওয়ার মত। শুধু তাই নয় তদন্তানুষ্ঠানে উখিয়ার ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এটি কোন তদন্ত হবে না। তদন্তের নামে নাটক করার পায়তারা করছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এটি কখনো হতে দেওয়া হবে না।

এ ব্যাপারে জানতে উখিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তারকে কল করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করে কথা না বলে কল কেটে দেন।

অভিযোগকারীদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনছুর আলী চৌধুরী তদন্তের কার্যক্রম জানিয়ে বলেন তদন্তের স্বার্থে আমাকে অভিযোগকারী, অভিযুক্তসহ শিক্ষক-কর্মচারীর সাথেও কথা বলতে হতে পারে। অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার অভিযোগকারীদের চিঠি ইস্যু করতে পারে না। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আমি কথা বলবো।

প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি কঠোর নজরদারিতে রেখেছেন বলে জানান।

Exit mobile version