উখিয়ায় ইন্টারনেট ও গেইম আসক্ত স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা
গত ১৬ এপ্রিল বিকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ওসাইমিম (১৮) নামক স্কুল ছাত্র। প্রথমে তিনতলার সানসেটে উঠে নিজের গায়ে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে। একই সময় লাফিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। খবর জেনে ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস তাকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে।
ততক্ষণে নিচে কম্বল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে লাফ দিলেও যাতে প্রাণহানি না ঘটে সেজন্য ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। কিশোর ওসাইমিমকে বুঝাতে সক্ষম হলে সে নিচে নামতে রাজি হয়। প্রায় আধাঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস চেষ্টার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে প্রথম বার ব্যর্থ হয় ওই কিশোরের আত্মহত্যা প্রচেষ্টা।
কিন্তু আত্মহত্যার জেদ মনের ভেতর রেখে দিল ওসাইমিম। শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাতে নিজের বসতবাড়িতে ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে অবশেষে আত্মহত্যা করেছে।
সে পালংখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গয়ালমারা এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে এবং কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র।
ঘটনার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার আগে রাতের যে কোন সময় বাড়ির শয়ন কক্ষে ওসাইমিম আত্মহত্যা করেছে বলে বলে জানান উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, শয়ন কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় ওসাইমিমের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট করে পুলিশ। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ইন্টারনেট ও গেইম আসক্ত কিশোরের আত্মহত্যার কারণ।
পরিবারের তথ্য মতে, আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার হাসপাতালের অধীনে মানসিক রোগের চিকিৎসা চলছিল ওসাইমিমের। দিনদিন উন্নতি হচ্ছিল তার। মাসখানেক সময় ধরে অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। কিন্তু শুক্রবার রাতে কেন আত্মহত্যা করে বসলো কারো অজানা।