parbattanews

উখিয়ায় এক গৃহবধূকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ায় এক গৃহবধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। গৃহবধুর নাম খতিজা বেগম (২৬)। সে পালংখালী ইউনিয়নের মোছার খোলা জাম্বনিয়া এলাকার আব্দুল মাবুদের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতেই ওই মোছার খোলা জাম্বনিয়া এলাকায় নিহতের স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন খতিজা বেগমকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠে।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ৬টার দিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং তুলাতুলি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানা যায়, প্রায় ৭ বছর পূর্বে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকার আব্দুর রশিদের কন্যার সাথে মোছারখোলা জাম্বানিয়া এলাকার বেচা আলীর ছেলে আব্দুল মাবুদের সাথে বিয়ে হয়। দুই বছর দাম্পত্য জীবন পার করার পর ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। এরই জের ধরে স্বামী আব্দুল মাবুদসহ শ্বশুড় শ্বাশুড়ি বেধড়ক মারধর করতো। এই নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশ হয়েছিল। সর্বশেষ গত কয়েকদিন পূর্বে পালংখালী বাজার কমিটির নেতা সহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ করে স্বামীর হাতে তুলে দেন।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে নিহত খতিজার শ্বশুড় বাড়ির আশেপাশের লোকজন তার পিত্রালয়ে নির্যাতনের খবর দেয়। নিহতের ভাই মো. আলীসহ আত্নীয়স্বজন গিয়ে শূন্য ঘরে খতিজার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের ভাই মো. আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খতিজাকে নির্যাতন করে আসছে তার স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। এরই জের ধরে তাকে নির্মমভাবে আঘাত করে হত্যা করা হয়। তাদের সংসারে ফুটফুটে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে পাষন্ড স্বামী আবদুল মাবুদসহ তার পরিবার পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনর রশিদ সিকদার জানান, ওই পাষন্ড স্বামী যৌতুক লোভী ও পরকীয়া লোভী ছিলেন। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে অনেকবার সালিশ হওয়ার পরেও ঘাতক স্বামীর নির্যাতন থামেনি। সর্বশেষ বর্বোরোচিত আঘাতে মারা গেলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রমাণ করতে চেয়েছিল।

এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ সন্জুর মোর্শেদ জানান, ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

Exit mobile version