parbattanews

উখিয়ায় গ্রামীণ উন্নয়নের নামে এনজিও কারিতাসের কোটি কোটি টাকা লুটপাট

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গাদের মাঝে কাজ করা গ্রামীণ উন্নয়ন নামের এনজিও সংস্থা কারিতাসের বিরুদ্ধে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। উন্নয়নের নামে করা কাজের চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে না।

অভিযোগ উঠেছে, ২০১৭ সালে ২৫ আগষ্টের পর মিয়ানমার সামরিক সরকারের নিপীড়ন নির্যাতনে ভয়ে পালিয়ে আসা ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় উখিয়ার ২৬টি ক্যাম্পে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যে মানবতার নামে হুমড়ি খেয়ে ছুটে আসেন দেশের বিভিন্ন এনজিও ও আইএনজিও। তারা রোহিঙ্গাদের বিশৃঙ্খলা না হতে ও স্থানীয়দের সন্তুষ্ট রাখতে উপজেলায় বিভিন্ন হোটেল মোটেল সাংবাদিক রাজনীতিবিদ ও ইমাম সমাজদের নিয়ে অনেক সভা করে তাদের লুটপাট জায়েজ করতে।

অভিযোগ উঠেছে এনজিও সংস্থা কারিতাস উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ের ২ নং ৪ ওয়ার্ডের ২টি প্রকল্প হাতে নেয়। মাটি কাটার নামে ১ কোটি ৯৬ হাজার টাকা বরাদ্দ নেন। শ্রমিক হিসাবে ১২৬২জনকে জনপ্রতি ৮ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে সম্পূর্ণ টাকা লুটপাট করেছে।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, আমার ইউনিয়নের ২ ও ৪ নং ওয়ার্ডের মাটি কাটার কথা বলে এনজিও সংস্থা কারিতাস ১২৬২ জন শ্রমিক নিয়োগ করে। কিন্তু ঐ সংস্থাটি যে কাজ করেছে তার এখন চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে না। মূলত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আচরণ না করতে তারা গ্রামের উন্নয়ন নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এ ব্যাপারে আমি তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এদিকে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ের ৯নং,৮ নং ও ৭নং ওয়ার্ডের রাস্তা উন্নয়ন কাজে এনজিও সংস্থা কারিতাস শতশত লোকজন দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কথা বলে একইভাবে লুটপাট চালিয়েছে। শ্রমিকরা চৌকিদার দফাদার হয়েও তাদের নাম এনজিও’র খাতায় রয়েছে। অথচ কাজ করার জন্য নেওয়ার কথা ছিল গরিব অসহায় লোকজন।

৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দু রহিম জানান, কারিতাস এনজিও তার এলাকায় কাজ করলেও গ্রামের লোকজন খুশি নয়। ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইকবার বাহার জানান, তার ওয়ার্ডের শত শত শ্রমিক দিয়ে এনজিও সংস্থা কারিতাস জনপ্রতি ৪ শত টাকা মজুরি দিয়ে ডিসেম্বর মাসে কাজ করেছে।

৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানান, তার ওয়ার্ডের নিকটবর্তী হলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্প কারিতাস এনজিও মাত্র ৩৫জন শ্রমিক দিয়ে লোক দেখানো কাজ করে ফায়দা লুটিয়েছে।

এ ব্যাপারে এনজিও সংস্থা কারিতাসের কর্মকর্তা শরীফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন তথ্য দিতে রাজি হয়নি, তবে কক্সবাজার অফিসে এসে তথ্য নেওয়ার জন্য বলেন।

Exit mobile version