parbattanews

উখিয়ায় দীর্ঘ ২০ বছর পর আলোর মুখ দেখলো গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসা

উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র উচ্চ দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসা ২০ বছর পর এমপিওভুক্ত হওয়ায় নতুন করে আলোরমুখ দেখেছে সংশ্লিষ্টরা। অবহেলিত গ্রামীণ জনপদে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রীপরিষদ সচিব(সদ্য বিদায়ী) শফিউল আলম, শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উখিয়া-টেকনাফের সংসদ শাহীনা আকতারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য, মাদ্রাসা সুপারসহ শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দ।

গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা দিল মোহাম্মদ বলেন, দীর্ঘ ২০বছর পূর্বে স্থানীয় এলাকাবাসির সহযোগিতায় মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হলেও বিনা বেতন দীর্ঘদিন ত্যাগ-শিকারের মাধ্যমে ১৮জন শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্তর্রিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছিল। বিগত কয়েক বছর ধরে জেডিসি, দাখিল ফলাফলে উপজেলায় শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হই। বর্তমানে ১ম শ্রেণী থেকে দাখিল ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৫শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে বলে তিনি জানান।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহমদ কবির সওদাগর মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, মাদ্রাসা পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী বেতন-ভাতা না পেয়ে অন্যত্রে চলে গেছে। শেষ মুহুর্তে এসে সরকারের সদিচ্ছায় গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীসহ সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির আরেক সদস্য, রত্নাপালং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হলেও এখনো নানান সমস্যা জর্জরিত মাদ্রাসাটি। ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় পর্যাপ্ত ভবন, ক্লাস রুম, আসবাবপত্র না থাকায় নিয়মিত পাঠদানে শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার ২৫ হাজার জনগোষ্ঠির একমাত্র উচ্চ দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসা। দীর্ঘ ২০ বছর পরে হলেও আলোর মুখ দেখায় কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

Exit mobile version