দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করা, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক দামে পণ্য বিক্রয় করা, সঠিকভাবে মূল্য তালিকা হালনাগাদ না রাখা ও ত্রানের পন্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে দোকানে সংরক্ষণ করার দায়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় অভিযান চালিয়েছে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ ও উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (১৩ মে) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উখিয়া কাঁচা বাজার ও কোটবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে মেসার্স জিয়া এন্টার প্রাইজকে ৫০০ টাকা, দাশ স্টোরকে ৫০০ টাকা, তপন স্টোরকে ৫০০ টাকা, মেসার্স বাবুল বিশ্বাস স্টোরকে ৫০০ টাকা, মেসার্স বাঁশি স্টোরকে ৫০০ টাকা, মেসার্স তিলক স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, রাজীব স্টোরকে ৫০০ টাকার, জামাল স্টোরকে ১ হাজার টাকা, মেসার্স তপন স্টোরকে ১ হাজার টাকা, মেসার্স খোরশেদ স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, মেসার্স সৈয়দ আলম স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, মেসার্স এস কে প্রবাল স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, এস আলম স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, রায়হান স্টোর ৫ হাজার টাকা, মেসার্স আমিন এন্ড ব্রাদার্স ৫ হাজার টাকা, মেসার্স রায়হান ট্রেডার্স ১০ হাজার টাকা এবং আলম এন্ড ব্রাদার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সাথে অভিযানকালে উখিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, জয়নাল আবেদিন স্টোরকে ৫০০ টাকা, আইয়ান ট্রেডার্সকে ১ হাজার টাকা ও ওসমান স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অভিযানের নেতৃত্বে দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন বলেন, বাজার তদারকি কালে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য, মজুদ ও সরবরাহ বিষয়ে বিভিন্ন কাঁচা ও মুদি দোকানে যাচাই বাছাই করা হয়। বাজারে কোন পণ্যের সংকট নেই এবং কাঁচা সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া অন্যান্য দ্রব্যের মজুদ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে বাজারে কোন পণ্যের দাম বৃদ্ধি না করার জন্য ব্যবসায়িদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং পণ্যের মূল্য তালিকা অনুযায়ী বিক্রি করার জন্য বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিক্রি করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান ।
অভিযানে প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তরুন বড়ুয়া। অভিযানে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন-১৪ এর অধিনায়ক এসপি মো আতিকুর রহমানের নির্দেশনায় সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন -১৪ এর এক দল সদস্য।
