উখিয়ায় মাহাবুব হত্যায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি
উখিয়ার উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব দরগাহ বিল গ্রামের টমটম চালক মাহবুব আলমকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে চিহ্নিত সন্ত্রাসী বেলাল বাহিনীর প্রধান কানা বেলালসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না হওয়ায় নিহতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে মাহাবুবকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের বিচার দাবিতে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের বয়োবৃদ্ধ মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। শনিবার সকাল ১১টায় উখিয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন মাহাবুবের মা’ রাবেয়া বেগম(৫৫)।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত মাহাবুব আলমের বয়োবৃদ্ধ মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৫৫ বছর। এই বৃদ্ধ বয়সে এসে আমি আমার একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছে। আমার ছেলেকে এলাকার ত্রাস বেলাল বাহিনী পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। খুনের সাথে বেলাল ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা জড়িত। এ সময় মাহাবুবের মা কান্নাজড়িত কন্ঠে আরো বলেন, ‘আমার এখন কি হবে ? পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল সে। আমার একমাত্র সন্তান হত্যার বিচার চাই।
সন্তান হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাহাবুল আলমের মা সন্তানের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে আহাজারি করতে থাকেন।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় মাহবুবকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এরপরও হত্যাকাণ্ডের ১৫দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমরা গরীব তাই প্রশাসন আসামিদের পক্ষে নিয়েছে। তা না হলে আসামিরা মোটর সাইকেল নিয়ে প্রকাশ্য ঘোরাফেরা করার সত্ত্বেও কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না?
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাহাবুব আলমের চাচা হাতিমোরা জামে মসজিদের খতিব মৌলনা আলী আহামদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বেলাল বাহিনীর প্রধান বেলালসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩/৪ জন আসামির বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি মামলা করেছি। পুলিশ রহস্যজনক কারণে কাউকে আটক করতে পারেনি। তদন্ত কাজেও তাদের ধীরগতি। আসামিরা পার পেয়ে যাওয়ার কারণে মুঠোফোনে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদর্শন করে আসছে।
নিহতের পরিবার দাবি করেন, তারা যেকোন সময়ে হামলাসহ আবারো হত্যাকাণ্ডের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটাতে পারে। এতে নিহতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল মনসুর বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা যাবে না। তবে খুনিরা পুলিশের নজরদারীতে আছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব দরগাহ বিল গ্রামে ধানক্ষেত থেকে মাহাবুব আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।