parbattanews

উখিয়ায় সরকারি চালের খালি বস্তা ও চালসহ ব্যবসায়ী আটক

উখিয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সরকারি চালের খালী বস্তা ও চালসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে থিমছড়ি স্টেশনের নিজ দোকান হতে আটক ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি একজন রাইস মিলার ও ধান চাল ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তার মালিকানাধীন রাইস মিল হতে ৭১ টি সরকারি চালের খালি বস্তা ও চাল জব্দ করা হয়। তিনি ওই সময় ৩০ কেজি বস্তা থেকে চাল বের করে ৫০ কেজি ওজনের প্যাকেটজাত করছিলেন নিজের রাইচ মিলে। উপজেলার রত্না পালং ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া গ্রামের মুকতার আহমদের ছেলে তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , উখিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে এই অভিযানে র‌্যাব এর একটি দল অংশগ্রহণ করেন। এ সময় রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খাইরুল আলম চৌধুরী ও স্থানীয় মেম্বার উপস্থিত ছিলেন।

চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী অভিযানের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরনের খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরাও প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম।

এদিকে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, আটক সাইফুল ইসলাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে বিতরণকৃত সরকারি চাল উপকারভোগী সদস্যের নিকট হতে নগদ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছিল। অনেকে জানান পুষ্টি মিশ্রিত চাল হওয়ায় খেতে চায় না। উপকারভোগী সদস্যরা প্রাপ্ত চালগুলো বিক্রি করে খাবার উপযোগী চাল ক্রয় করে ঘরে নিয়ে যায় এমন কথাও মাঠে রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কয়েকটি সিন্ডিকেট চক্র গ্রামে গ্রামে গিয়ে সুযোগ বুঝে সরকারি চাল করে গুদাম জাত করত তা আবার বিক্রি করে।

এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় আমার ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৫ শত পরিবারের মধ্যে প্রতিমাসেই চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে। উপকারভোগী সদস্যরা কার্ড নিয়ে আসলেই সাথে সাথে চাল হস্তান্তর করা হয়। সেই চাল বাড়িতে নিয়ে যায় উপকারভোগীরা। স্বাভাবিকভাবে বিতরণের পর চালের দায় দায়িত্ব আমাদের থাকে না।

সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চালসহ খালি বস্তা জব্দ করে জড়িত সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version