parbattanews

উখিয়ায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় লম্পট জাহেদের বাড়ীতে পুলিশি অভিযান

উখিয়ায় উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্বডিগলিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে ক্লাস রুমে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা একই এলাকার মোঃ কালুর ছেলে জাহেদ আলম (৩৩) নামের এক লম্পট।

শুক্রবার আজকের দেশবিদেশ পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি ছাপানো হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের একটি দল লম্পট জাহেদের বাড়ীতে গেলে পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তার ভাই ও বোন।

এসময় পুলিশ তাদেরকে আটক করলে লম্পট জাহেদের ভাই ওবাইদুল্লাহ’র প্যান্টের পকেটে ৭টি ইয়াবা পাওয়া।

ভাই-বোন ২জনকে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের নিকট হাজির করিলে তিনি লম্পট জাহেদের ছোট ভাই ওবাইদুল্লাহ কে ১৫দিনের সাজা প্রদান করে আদালতে প্রেরণ করেন।

এসময় মুছলেকা দিয়ে তার বোন লাকী আক্তারকে ছেড়ে দেয় বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল মনসুর।

তিনি আরো জানান, ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে কোচিং করার জন্য ওই ছাত্রী পূর্বডিগলিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যায়। বিদ্যালয়ে প্যারা শিক্ষক নুরুল আলম নুরু বিদ্যালয়টির দরজা-জানালা খুলে দিয়ে পাশ্ববর্তী দোকানে নাস্তা করতে গেলে ওই মুহুর্তে লম্পদ জাহেদ স্কুলের ক্লাস রুমে ঢুকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

তার চিৎকারে অন্যান্য ছাত্র/ছাত্রীরা দৌড়ে গিয়ে প্যারা শিক্ষক নুরুল আলমকে বললে সে সাথে সাথে স্কুলে আসে। এসময় দরজা খূলে লম্পদ জাহেদ পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে একটি মহল বিষয়টি ধামাছাপা দেওয়া জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কতিপয় লোকজন প্রশাসনকে ম্যানেজ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যার কারনে মামলা রুজু করতে দেরী হচ্ছে।

এদিকে স্কুলে অধ্যায়রত ছাত্র/ছাত্রীরা লম্পট জাহেদের শাস্তি দাবী জানিয়ে বলেন, এর উপযুক্ত বিচার না হলে তারা ক্লাস বর্জন করতে বাধ্য হবেন।

Exit mobile version