উখিয়া সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি : ধুলাবালিতে দুর্ভোগে পরীক্ষার্থীরা

fec-image

সড়ক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার-উখিয়া-টেকনাফ সড়কের বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখার কারনে ধুলাবালিতে দুর্ভোগে পড়েছে এসএসসি/সমমান পরীক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এমন চিত্র দেখা গেছে উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কে।

উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. আলমগীর নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তার বাড়ি বালুখালীতে সকাল ৮টার দিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার সময় বের হয়ে কুতুপালং দীর্ঘ যানজটে পড়ে। সেখান প্রায় ঘন্টা খানেক পর পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে সক্ষম হন। পথে ধুলাবালির কারনে তার শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এক অভিযোগ থাইখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের মো. আয়াচ নামের আরেক পরীক্ষার্থীর। সে অভিযোগ করে এ পার্বত্যনিউজকে জানান, তারা ৫জন একটি সিএনজি করে উখিয়া পৌঁছতে দীর্ঘ দেড় ঘন্টা সময় লেগেছে। পরীক্ষার দিন যানচলাচলে ইউএনও বিজ্ঞপ্তিজারী করলেও তা মানছেনা এনজিওরা।

এদিকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া উপজেলায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষ্যে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান সাক্ষরিত এক ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে জানানো হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক এনজিও/আইএনজিও ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলাচলের ফলে অত্যাধিক যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পরীক্ষার্থীদের যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্র উপস্থিত হতে বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এনজিও/আইএনজিও ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়িসমূহ (জরুরী সেবাসমূহ ব্যতিত) পরীক্ষার দিন সকাল ৮টার পূর্বে এবং সকাল ১০টার পরে সোনার পাড়া হতে কোটবাজার-কুতুপালং বাজারে চলাচলের জন্য অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু তা অমান্য করে বিভিন্ন এনজিও, আইএনজিও, ইউএন সংস্থার গাড়ি চলছে বীরদর্পে।

সরজমিন দেখা গেছে, কক্সবাজার-উখিয়া-টেকনাফ সড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে ধীরগতিতে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখার কারনে ধুলাবালিতে একাকার হয়ে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলো। সোমবার শুরু এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এর কবল থেকে বাঁচতে পারেনি।

সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত কয়েকজন লোক জানান, সড়কে প্রতিনিয়ত সকাল-বিকাল পানি ছিটানো নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তা করছেনা।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আনিস আহমদ জানান, পানি ছিটানো কথা বলা আছে। যদি না ছিটে তাহলে খোঁজ খবর নিয়ে দেখতে হবে। তবে প্রতিদিন সকাল-বিকাল পানি ছিটানো হয় বলে তিনি দাবি করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন