উত্তপ্ত মিয়ানমার: বাংলাদেশে আশ্রয় নিল ৫৮ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের তীব্র গোলাগুলি চলছে। এতে বেড়েই চলেছে সীমান্ত উত্তেজনা।
এদিকে বিদ্রোহী গ্রুপের অস্ত্রের মুখে টিকতে না পেরে এখন পর্যন্ত ৫৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবশে করেছে। এদের মধ্যে ১৪ জন আহত। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকি ৪৪ জনকে সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তের কাছে একটি স্কুলে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে শুরু হওয়া গোলাগুলি অব্যাহতভাবে চলছে। সূত্র জানায়, গোলাগুলির শব্দ যেখান থেকে আসছে, সেখানে বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প এবং ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি অবস্থিত।
এ দুই স্থাপনা ছাড়া আশপাশের প্রায় ৪৮ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিপির বাকি সব চৌকি আরাকান আর্মি এরই মধ্যে দখলে নিয়েছে। বাকি দুটি স্থাপনা দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে আরাকান আর্মির হামলা চলছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে সীমান্তে নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে বাড়তি বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানায় ৩৪ বিজিবি।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সীমান্তের দিকে নজর রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।