parbattanews

উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বান্দরবানের ফাঁসিয়াখালীতে

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আনাচে কানাচে উন্নয়নের আমূল পরিবর্তণ হলেও এখনো আশানুরূপ উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে। এটি লামা উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। উপজেলা সদর থেকে এই ইউনিয়নের ১২কি.মিটার প্রধান সড়কটি এখনো ইট বিছানো। অভ্যান্তরীণ কিছু সড়ক ব্রিক সলিং হলেও বহু সড়ক মাটির রাস্তা।

ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মোট আয়তন ১৯১.৬৬ বর্গ কিলোমিটার। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লামা-আলীকদম সড়ক এর কবিরের দোকান (আড়াই মাইল) নামক সংযোগ সড়ক হয়ে এই ইউনিয়নে আসতে হয়। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এই ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২৪,৯৩৬ জন।

সম্প্রতি এই ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরো ইউনিয়ন অনেকটা নিরব নিস্তব্ধ। ফাঁসিয়াখালী মূল ১২কি.মি সড়ক ব্রিক সলিং এবং অভ্যান্তরীণ অন্যান্য সড়ক মাটির রাস্তা। এই রাস্তায় চাঁদের গাড়ি ও মোটর সাইকেল এলাকার মানুষের যাতায়ত মাধ্যম। অধিকাংশ বসতঘর মাটি ও টিনের তৈরি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বান্দরবানের অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। অন্যদিকে গাছ, পাথর, বালু, পাহাড় কাটাসহ নানা পরিবেশ বিপর্যয়কর কার্যক্রমও চলছে এখানে।

এই প্রসঙ্গে কথা হলে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, ‘জেলার অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি ঠিক’ তবে, হায়দারনাশাী এলাকায় ১কি.মিটার কার্পেটিং সড়ক, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বগাইছড়ি খালেরও উপর ব্রিজ, এলজিইডির অর্থায়নে ১২কি.মি এইচবিবিসহ সড়ক ও ব্রিক সলিং রাস্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন হয়েছে। তবে সাঙ্গু মৌজা এলাকার ১নং ওয়ার্ডে ১৩টি গ্রামের মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত। অভ্যান্তরীণ কিছু সড়ক মাটির রাস্তা রয়েছে।

Exit mobile version